শুক্রবার গভীর রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পঞ্জাবের তরণতারণ জেলার সারহালি থানা। পুলিশ সূত্রের খবর, কোনও জঙ্গি সংগঠনের রকেট হামলার জেরেই এই ঘটনা। শুক্রবার গভীর রাতের এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১টা নাগাদ থানার বাইরের একটি পিলারে আছড়ে পড়ে রকেট গ্রেনেডটি। বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে শনিবার ভোররাত থেকে এলাকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো পুলিশ স্টেশন। পাঞ্জাবের তারন তারান থানায় ভয়াবহ রকেট হামলা। ঘটনার জেরে থানার দরজা-জালনা কেঁপে ওঠে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কাচের জানালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এর আগে মে মাসে, মোহালিতে অবস্থিত পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে একটি রকেট চালিত গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ফরেন্সিক দল জানিয়েছে, রকেটটি খুব শক্তিশালী ছিল, কিন্তু পিলারে আঘাত করার পরে এটি আবার উড়ে যায় ফলে পুলিশ স্টেশনটি বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে হামলায় ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই হামলার পর পুলিশ পুরো এলাকার দখল নেয়। সিল করে দেওয়া হয়েছে আশেপাশের এলাকা। এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এসএসপি গুরমিত সিং চৌহান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চলতি বছরের আগস্টে, মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশের রাজ্য গোয়েন্দা সদর দফতরে একই রকম রকেট লঞ্চার হামলা হয়েছিল। পরে এটি একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে প্রমাণিত হয়। হামলার সময় থানার ইনচার্জ প্রকাশ সিং ছাড়াও থানায় ডিউটি অফিসার এবং ৮ পুলিশ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের জুলাইয়ে থানার খুব কাছেই আইইডিসহ এক সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পাঞ্জাবের পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এই সপ্তাহের শুরুতে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল RPG হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড লক্ষবীর সিং লান্ডাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে গ্যাংস্টার লান্ডাও তারন তারান জেলার বাসিন্দা এবং ২০১৭ সালে সে কানাডায় চলে যায়।