Advertisment

ইজরায়েলে গুরুদ্বার তৈরির অনুমতি চেয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন প্রবাসীরা

পাঁচ দিনের ইজরায়েল সফরের শেষ দিনে অমরিন্দর সিং হফ হাশারনের ডেয়ারি ফার্ম ঘুরে দেখেন। ডেয়ারি ফার্মের গুণগত মান উন্নত করার প্রযুক্তিগত কৌশল শেখাই মুল লক্ষ্য ছিল সফরের। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং

উপাসনার জন্য গুরদুয়ারা তৈরির জমি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে দেখা করলেন ইজরায়েলে বসবাসকারী পাঞ্জাবিরা। ইহুদিদের দেশে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের জন্য জমির অনুমতি পেতে মুখ্যমন্ত্রী সিং-এর সাহায্য চাইলেন প্রবাসী পাঞ্জাবিরা।

Advertisment

মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং প্রবাসীদের আশ্বস্ত করে, ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাসে পবন কাপুরের সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন।  যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইজরায়েলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের মারফত তিনি জানতে পেরেছেন, সে দেশের জমি সংক্রান্ত নিয়মাবলি বেশ কড়া।

বিষয়টি নিয়ে কী করা যায়, ভেবে দেখবে সরকার, সুনিশ্চিত করলেন পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী। ইজরায়েলের যাওয়ার জন্য পাঞ্জাবের তরুণদের  অবৈধ ভিসা জোগাড় করে দিতে  যে সব ভুঁইফোঁড় সংস্থায়  ছেয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য, তা নিয়েও এ দিন আলোচনা হয় অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে। অমরিন্দর জানিয়েছেন, এই সব সংস্থাকে ইতিমধ্যে অবৈধ ঘোষণা করেছে পাঞ্জাব সরকার। এখনও যে সমস্ত সংস্থা ভুয়ো ভিসা জোগাড় করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে  সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছেন অমরিন্দর সিং।

মুখ্যমন্ত্রীর ইজরায়েল সফরে বারবার উঠে আসে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালীন পাঞ্জাবিদের ইজরায়েলের মানুষের পাশে থাকার কথা। উঠে আসে ইজরায়েলকে অটোমান শাসন থেকে মুক্ত করার পেছনে পাঞ্জাবিদের অবদানের কথাও। মঙ্গলবার হানিফায় ইহুদিদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে শহিদ হওয়া পাঞ্জাবিদের কবরস্থান ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সিং।

পাঁচ দিনের ইজরায়েল সফরের শেষ দিনে অমরিন্দর সিং হফ হাশারনের ডেয়ারি ফার্ম ঘুরে দেখেন। ডেয়ারি ফার্মের গুণগত মান উন্নত করার প্রযুক্তিগত কৌশল শেখাই মুল লক্ষ্য ছিল।

প্রসঙ্গত, ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলে যেখানে দুগ্ধ উৎপাদনের হার সবচেয়ে বেশি, সেখানেই একটি গরু দৈনিক গড়ে ১০ থেকে ১৫ লিটার দুধ দেয়। ইজরায়েলে গড়ে ৪০ লিটার। ইজরায়েলের গরুর দুধের ফ্যাটের পরিমাণও ৪ শতাংশ (পাঞ্জাবে এর পরিমাণ ২.৫%)। উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, সৌর শক্তির ব্যবহার, ইত্যাদি বিষয়ের ওপর।

Read full story in English

Advertisment