ক্ষমতায় এলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিষিদ্ধ হবে ছোট পোশাক, পড়ুয়াদের রক্ষা করা হবে 'অ্যান্টি ন্যাশনাল কমরেড'দের হাত থেকে। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) এমন 'আশ্বাসমূলক' পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও সে সব পোস্টারের দায় অস্বীকার করেছে এবিভিপি সদস্যরা। পোস্টারে উল্লেখ ছিল যৌন হেনস্থা আটকাতে সারা রাত খোলা রাখা যাবে না বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি।
আর এস এসের স্নেহধন্য দক্ষিণপন্থী ছাত্র সংগঠন এবিভিপির পক্ষ থেকে সৌরভ শর্মা জানিয়েছেন, "বাম ছাত্র সংগঠনগুলো আসলে ভয় পেয়েছে। তাই আমাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে। আমরা এ ধরণের পোস্টার বার করিনি"।
আরও পড়ুন, উমর খালিদের উপর হামলায় গুলি চলেছিল, দাবি পুলিশের
শুধু জেএনইউ চত্বরই নয়, সোশাল মিডিয়ায়ও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্টার। পুরুষ হোস্টেলে মহিলাদের প্রবেশ অবাধ রাখা হবেনা আর, মহিলাদের জন্য লাইব্রেরি ব্যবহার করার সময় কমিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে, সন্ত্রাসবাদী এবং 'অ্যান্টি ন্যাশনাল কমরেড'দের হাত থেকে বাঁচাতে আরও নানা পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বার করা হয়েছিল পোস্টার। এবিভিপির কাছে 'বাম এবং হেনস্থাকারীদের ডেরা' তকমা পাওয়া গঙ্গা ধাবায় বন্ধ করা হবে আমিষ খাবার, ছিল এমন ফরমানও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বর্তমান শাসক দলের পক্ষ থেকে একাধিক বার জেএনিউ-কে 'দেশদ্রোহীদের আখড়া' হিসেবে ভূষিত করা হয়েছে। কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলে যতবার আলোচনায় এসছেন কানহাইয়া কুমার কিমবা উমর খালিদরা, ততবারই তাদের চিহ্নিত হতে হয়েছে 'অ্যান্টি ন্যাশনাল' হিসেবে।
সম্প্রতি হওয়া ছাত্র নির্বাচনে এবিভিপির বিপক্ষে লড়ছে বাম ছাত্র সংগঠনের জোট। এই জোটে রয়েছে এআইএসএফ, এসএফআই, এআইএসএফ এবং ডিএসএফ। শুক্রবার রাতেই ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশ আগামী রবিবার।