টিকা ছাড়া বাজারে প্রবেশ আর নয়। দিল্লি প্রশাসনের তরফে, সমস্ত ব্যবসায়ী, বাজার সমিতি, দোকানদার, হকার, বিক্রেতা এবং শ্রমিকদের বাধ্যতামূলকভাবে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে টিকার শংসাপত্র না থাকলে কোন ভাবেই বাজারে প্রবেশ করতে পারবেন না। ১১ টি জেলা প্রশাসন সূত্রে বাজারগুলিকে তাদের যোগ্য টিকা প্রাপকদের একটি তালিকা জমা করার কথা বলা হয়েছে। যারা এখনও টিকার প্রথম ডোজ নেয়নি, তাদের অবিলম্বেই এই ডোজ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বাজারের সকল দোকানী, কর্মচারী টিকার ডোজ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসনের তরফে একটি শংসা পত্র দেওয়া হবে ‘এই বাজারের সমস্ত যোগ্য কর্মী টিকা দেওয়া হয়েছে’ এই মর্মে। সেই সঙ্গে বাজারের বাইরে একটি ডিসপ্লে বোর্ডও টানানো হবে যাতে লেখা থাকবে, "সম্পূর্ণ টিকাযুক্ত বাজার"। ইতিমধ্যেই সরোজিনী নগর সহ দিল্লির বেশকিছু বাজার এই ধরনের শংসাপত্র প্রশাসনের কাছ থেকে অর্জন করেছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এটি ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থে করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সকল বাজার কমিটি গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নতুন কোন কর্মী বাজারের কাজে নিযুক্ত হলে তাকে টিকার শংসাপত্র দেখাতে হবে’।
দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ) এর জারী করা এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এবং করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে। লোকেরা যাতে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলে সেই বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্তা এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "সব বাজারের কর্মীদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।" এরকম একটি ড্রাইভ চলাকালীন, লাজপত নগরের ২৮৮ জন বাজার কর্মীকে মোবাইল টিম দ্বারা টিকা নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছিল”।
সরোজিনী নগর বাজার কমিটি এক শীর্ষ কর্তা জানান “বাজারে কঠোর নজরদারি চলছে। সমস্ত কর্মীদের টিকা নেওয়ার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় তাদের দোকান খুলতে বা বাজারের ভিতরে যেতে দেওয়া হবে না। সরোজিনী নগর বাজারে প্রায় ৭০০ টি দোকান রয়েছে এবং সমস্ত কর্মীদের সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়েছে৷ এটি মানুষের নিরাপত্তার জন্য একটি ভাল উদ্যোগ,” সরোজিনী নগর বাজার এলাকার এক হকার জানান, “টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রশাসনের তরফে আমাকে বলার পর আমি টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি”। আমার মত অনেকেই টিকা নিয়েছেন”।