৮ প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনার মৃত্যুদণ্ডে নিষেধাজ্ঞা? কাতার আদালত ভারতের আপিল গ্রহণ করেছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে হবে শুনানি! চলতি বছর ২৬ অক্টোবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর আট প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কাতারের ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছিল ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর), কাতারের আদালত ভারত সরকারের সেই আবেদন গ্রহণ করেছে।
কয়েকদিন আগে কাতারের আদালত আট প্রাক্তন ভারতীয় নৈসেনা আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে কাতারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ সামনে আসে। এখন ভারত এই বিষয়ে কাতারের একটি আদালতে আবেদন করেছে। আদালত এ বিষয়ে শীঘ্রই শুনানি করবে। তবে শুনানির পরবর্তী তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
কাতারে আট প্রাক্তন ভারতীয় নৈসেনা আধিকারিকের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সকলেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত। বর্তমানে সকলেই কাতারের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে তারা মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। ভারত এ ব্যাপারে দারুণ সাফল্য পেয়েছে। এ বিষয়ে কাতারের একটি আদালতে আবেদন করেছে ভারত। তা মেনে নিয়ে আদালত মামলার শুনানি করতে রাজি হয়েছে।
কাতারের আদালত বলেছে ভারতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিপ্তে মামলাটি শীঘ্রই শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে। এখন এই আবেদনের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সমস্ত প্রাক্তন নৈসেনা আধিকারিক ও তাদের পরিবারের জন্য দারুণ স্বস্তির খরব। বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসাবেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
সাজাপ্রাপ্ত আট কর্মকর্তা কাতারের একটি বেসরকারি কোম্পানি আল-দাহরায় কর্মরত ছিলেন। এই কোম্পানিটি কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করত। অফিসারদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর কারাত আদালত তাকে ২৬শে অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড দেয়।
উল্লেখ্য, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও সাজাপ্রাপ্ত কাতারে কারাবন্দী প্রাক্তন নৌসেনাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এক্সে (আগের টুইটার) এই তথ্যটি শেয়ার করার সময় তিনি লিখেছেন, “সরকার পরিবারের সদস্যদের কষ্ট উপলব্ধি করে সমস্ত ভারতীয়দের মুক্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।”