এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করতে কাতারে দ্রুত নির্মাণকাজ চালাতে হয়েছে। এজন্য প্রায় ৫০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন, কাতারের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের দায়িত্বে থাকা এক কর্তা। সরকারি হিসেবে কাতার যতজন শ্রমিক মৃত্যুর কথা জানিয়েছে, তার চেয়ে ওই সরকারি আধিকারিকের দেওয়া মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।
কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসির সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান আল-থাওয়াদির এই কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানের সাথে একটি সাক্ষাত্কারের সময়। মৃত এই শ্রমিকদের মধ্যে আবার বেশিরভাগই বিদেশি। মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিল মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
কাতারের বিশ্বকাপ কমিটির আধিকারিক নতুন মৃত্যুসংখ্যা জানানোয়, সেই সমালোচনা নিশ্চিতরূপে কয়েকগুণ বাড়বে। টুর্নামেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে স্টেডিয়াম, মেট্রো লাইন এবং নতুন কাঠামো তৈরি হয়েছে ওই শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে। সাক্ষাৎকারে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে কাতারের সুপ্রিম কমিটি। সরকারিভাবে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কমিটির কোনও কর্তা।
আরও পড়ুন- সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, সম্মতি জানিয়ে সাক্ষর ১০০ সংস্থার
ঠিক কী বলেছেন থাওয়াদি? তিনি বলেছেন, 'আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ জন মারা গিয়েছেন। আমার সংখ্যাটা সঠিক জানা নেই। তবে, কথাবার্তায় যা উঠে এসেছে, ওইরকমই মারা গিয়েছে।' ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ধীরে ধীরে কাতারে স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে। সেই স্টেডিয়াম তৈরি থেকে অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরির সময় এই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে।
কাতার অবশ্য জানিয়েছিল, মাত্র ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও আছে। আল-থাওয়াদি টুর্নামেন্টের কাঠামো তৈরির জন্য যে ৫০০ জনের মৃত্যুর কথা বলেছেন, তার মধ্যে এই সব মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে। ২০১০ সালে ফিফা কাতারকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভার দেওয়ার পর থেকেই কাতার সেই কাজ ধীরে ধীরে শুরু করেছিল। এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, পরিকাঠামো তৈরির জন্য শ্রমিকদের কার্যত বন্ডেড লেবারের মতও খাটিয়েছে কাতার প্রশাসন।
Read full story in English