প্ররোচনামূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠল এক কাওয়ালি গায়কের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই কাওয়ালি গায়কের নাম শরিফ পারওয়াজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে তিনি প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ মার্চ মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় এক অনুষ্ঠান চলাকালীন। সেখানে ওই কাওয়ালি গায়কের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই তিনি মোদী, শাহ, যোগী- এই তিন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ওই গায়ককে গ্রেফতার করতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের কানপুরের পথে রওনা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বৃহস্পতিবার জানান, 'কাওয়ালি গায়কদের কাছে আমার অনুরোধ, যে কোনও বাজনা বাজান। যে কোনও গান গাইতে পারেন। কিন্তু, দেশবিরোধী কিছু করবেন না। এটা একজন লেখক, কবি, কাওয়ালি গায়ক- সবার জন্যই প্রযোজ্য। দেশবিরোধী যে কোনও চিন্তা তাঁদের মন থেকে মুছে ফেলা উচিত। এটা জাতীয়তাবাদের সময়। আর, আমরা জাতীয়তাবাদী।'
অভিযুক্ত গায়কের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে, নরোত্তম মিশ্র জানান, সরকার অভিযুক্ত কাওয়ালি গায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগকে বেপরোয়া ভাবে আঘাত, দাঙ্গা বাধানোর জন্য উসকানি, জনগণের অনিষ্ট করার চেষ্টা-সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ থেকে পুলিশের দু'টি দল ওই গায়ককে ধরতে কানপুরে গিয়েছে। কানপুর পুলিশও যথেষ্ট সহয়তা করছে।
ঘটনার সূত্রপাত রেওয়া জেলার মাংগয়া শহরে উরস কমিটির কাওয়ালি অনুষ্ঠানকে ঘিরে। একদিনের ওই অনুষ্ঠানে ১০ হাজার ভক্ত যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ওই কাওয়ালি গায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, 'মোদীজি বলেন, আমি আছি। যোগীজি বলেন, আমি আছি। অমিত শাহ বলেন, আমি আছি। কিন্তু আছেন কেন? যদি গরিবের ভগবান চান, তবে হিন্দুস্তান ভাবতেই পারবে না কোথায় ছিলাম!'
ঘটনায় বাড়াবাড়ি হয়েছে বুঝতে পেরে, উরস কমিটিও নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ আনসারি জানিয়েছেন, এতে তাঁদের কোনও দোষ নেই। মন্তব্যের যাবতীয় দায় ওই কাওয়ালি গায়কের।
Read story in English