কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে মঙ্গলবার রাজধানীতে হামলার ঘটনায় যোগেন্দ্র যাদব, রাকেশ টিকায়েত সহ মোট দশজন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। রায়ট, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ডাকাতি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে ১০ জেলায় মোট ২২টি এফআইআর পুলিশ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক সিনিয়ার পুলিশ অফিসার।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কৃষক নেতাদের আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ডাকা হবে। সিনিয়ান পুলিশ অফিসারর কথায়, 'রায়ট, সরকারি সম্পত্তি নষ্ঠ ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এরপর তদন্তের জন্য এফআইআরে নাম থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।'
মঙ্গলবারের তাণ্ডবে ৩০০-র বেশি তাদের কর্মী আহাত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লালকেল্লা ও আইটিও চত্বরেই আহতের সংখ্যা বেশি। দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছে, 'প্রকৃত তদন্তের পরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। কীভাবে হিংসা ছড়ালো তা জানতে, লালকেল্লা, নাঙ্গলোই, আইটিও-র কাছে থাকা সিসিটিভিগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর বুধবার সকাল থেকেই লালকেল্লা, মধ্য দিল্লি সহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মজুত রাখা হয়ছে আধা সেনা।
দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত জনসংযোগ আধিকারিক অমিল মিত্তল বলেছেন, '২৬ জানুয়ারির ঘটনার জন্য ২২টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। শতাধিক পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম।'
তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজপথে ট্রাক্টর ব়্যালি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কৃষক নেতারা। আদালত এই ব়্যালির উপর স্থগিতাদেশ জারি না করায় রবিবার কৃষক নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক হয়। স্থির হয় দিল্লি সীমানা দিয়ে কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ে , কেজিপি এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত ব়্যালি যাবে শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু, মঙ্গলবার ব়্যালি শুরু হওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। রুট বদলে মধ্য দিল্লির দিকে যেতে শুরু করে ট্রাক্টর ব়্যালি। ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা যাত্রা শুরু করে। পুলিশ বাধা দিলেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্য বা জলকামানেও কাজ হয়নি। রীতিমত হিমশিম অবস্থায় পড়ে পুলিশ। পরে কৃষকরা লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে ভাঙচুর, জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ উটেঠেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিনভর উত্তেজনার পর নিজের ঘাড়ে হিংসার দায় নিয়েছিলেন যোগেন্দ্র যাদব। তিনি বলেছিলেন, ‘যেভাবে বিষয়টি এগিয়েছে, তাতে আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী হিসেবে লজ্জিত বোধ করছি এবং এই ঘটনার দায় নিচ্ছি আমি।’
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন