প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং বিদেশসচিব লিজ ট্রাস, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এখন এই দু'জন। চূড়ান্ত নির্বাচনে তাঁদের মধ্যে একজনকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পারবেন। জায়গা নেবেন বরিস জনসনের। সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ভোটের সব রাউন্ডে জিতেছেন। কিন্তু, ট্রাসই এখন পর্যন্ত সরকারি দলের ২ লক্ষ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলে মনে করছে একটি মহল।
শেষ নির্বাচনে সদস্যরাই তাঁদের দলের নেতা বা নেত্রীকে বেছে নেবেন। একসপ্তাহ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলবে সুনাক ও ট্রাসের মধ্যে। প্রাক্তন গোল্ডম্যান সাচের ব্যাংককর্তা সুনাক অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ব্রিটিশ জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়িয়েছেন। সেই বোঝা এতটাই যে ১৯৫০-এর পর এই বৃদ্ধিই সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ট্রাস ব্রেক্সিট কার্যকর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৫ সেপ্টেম্বর ফলাফল ঘোষিত হবে। বিজয়ী যেই হোন না-কেন, তাঁকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। কারণ, এখন ব্রিটেনের মুদ্রাস্ফীতি বার্ষিক ১১% ছুঁতে চলেছে। বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে। শিল্প বাড়লেও ডলারের তুলনায় পাউন্ডের দর এখন ঐতিহাসিক ভাবে সবচেয়ে কম। পাশাপাশি, জনসনের জমানায় ট্রাসের মদতেই ব্রিটেন ব্রেক্সিট-পরবর্তী আলোচনায় ব্রাসেলসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল।
আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কোনও পণ্ডিত কাশ্মীর ছাড়েননি, লোকসভায় জানালেন মন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আইনি পদক্ষেপে জড়িয়ে ভবিষ্যতের বাণিজ্য সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই সব বিষয়গুলোও ভোটারদের প্রভাবিত করবে। শেষ পর্যায়ে দুই প্রার্থী উঠলেও, গোড়ায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ১১ জন প্রার্থী ছিলেন। ধীরে ধীরে এক একজন করে ছিটকে যান। বুধবারও ছিলেন তিন জন। বুধবার রক্ষণশীলদের নির্বাচনে সুনাক ১৩৭, ট্রাস ১১৩ এবং পেনি মর্ডান্ট ১০৫ ভোট পেয়েছেন।
মর্ডান্ট সবচেয়ে কম ভোট পাওয়ায় দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন। এর ফলে সদস্যদের নির্বাচনে যদি ট্রাস শেষ পর্যন্ত সুনাককে হারিয়ে দেন, তবে তিনি জনপ্রতিনিধিদের ভোটে হেরেও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হবেন।
Read full story in English