Advertisment

রাফাল নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের হলফনামা

সরকারের তরফ থেকে হলফনামায় আরও বলা হয়েছে যে যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরী এবং সমাজকর্মী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করার দায়ে অপরাধী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rafale documents centre accuses three review petitioner for leaking sensitive information

রাফাল মামলার তিন আবেদনকারী গোপন নথি ফাঁসে দোষী, হলফনামা দিয়ে বলল কেন্দ্র

রাফাল মামলায় আবেদনকারীরা জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে অ্যাফিডেভিট দাখিল করে বলল কেন্দ্র। তাদের যুক্তি যেসব কাগজপত্র আদালতে পেশ করা হয়েছে তা যথেষ্ট সংবেদনশীল এবং তা এখন দেশের শত্রুরা হাতে পেয়ে যাবে।

Advertisment

সরকারের তরফ থেকে হলফনামায় আরও বলা হয়েছে যে যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরী এবং সমাজকর্মী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করার দায়ে অপরাধী। ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের রাফাল চুক্তি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগে দায়ের হওয়া সমস্ত জনস্বার্থ মামলা শীর্ষ আদালত ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর খারিজ করে দিয়েছিল। এর পর রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন ওই তিন জন।

আরও পড়ুন, গোপন নথির সূত্র কিছুতেই প্রকাশ নয়: অনড় এন রাম

হলফনামায় বলা হয়েছে, “এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি, অনুমতি ছাড়া যারা সংবেদনশীল নথির ফোটোকপি করার ষড়যন্ত্র করেছেন এবং তা রিভিউ পিটিশনের সঙ্গে দাখিল করেছেন তাঁরা বিনা অনুমতিতে ফোটোকপি করে চুরি করেছেন... দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিঘ্নিত হয়েছে।“

বলা হয়েছে, কেন্দ্র গোপনীয়তা বহাল রাখলেও, আবেদনকারীরা সংবেদনশীল তথ্য ফাঁসে অপরাধী, যার ফলে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে।

হলফনামায় বলা হয়েছে, "আবেদনকারীরা অননুমোদিত উপায়ে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংযুক্ত আভ্যন্তরীণ গোপনীয়তার আংশিক ও অসম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরার উদ্দেশ্যে লিপ্ত।"

গত সপ্তাহে সরকার অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় এনে দুটি প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এই প্রকাশনা দুটিতে এই তথ্যাদির উপর নির্ভর করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। বলা হয়েছিল রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত নথি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন, রাফাল নথি ও একটি বিতর্কিত আইন

অ্যটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কাউল এবং কে এম জোসেফকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চের সামনে এ অভিযোগ করার সময়ে প্রথমে এই দুই সংস্থার নাম উল্লেখ না করলেও পরে বলেন, দ্য হিন্দু এবং এএনআইয়ের কাছে চুরি করা নথি রয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারি দ্য় হিন্দু পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক নোট উদ্ধৃত করা হয়। সেখানে রাফাল চুক্তি নিয়ে ফরাসিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সমান্তরাল আপোস আলোচনার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি তোলা হয়েছিল। এএনআই-ও আরও কিছু নোট সহ একই নোট প্রকাশ করে।

Read the Full Story in English

supreme court Rafale
Advertisment