অক্টোবরের শেষেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দশ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে রাফালের দাম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে। সোমবার ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান চুক্তির যাবতীয় তথ্য আবেদনকারীদের কাছে জমা দিয়ে আসা হল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে জানানো হল ১ বছর ধরে দরদাম করে তবেই চুক্তিতে সই করেছিল দুই পক্ষ।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২০১৩ সালের প্রতিরক্ষা পণ্য সংক্রান্ত যাবতীয় পদ্ধতি মেনেই দু' পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল এবং ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি-র অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রাফালে চুক্তি নিয়ে সিবিআইএর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক ভার্মার সঙ্গে দেখা করে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরী অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগপত্রে প্রশান্ত ভূষণ বলেছিলেন, রিলায়েন্সের অনিল আম্বানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনার ফলেই ঋণগ্রস্ত আম্বানি রাফালে প্রস্তুতকারক সংস্থা ডসাল্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মোদী রাফালে চুক্তি নিয়ে ঘোষণার দু দিন আগে পর্যন্তও বিদেশ সচিবের কাছে বিষয়টি অজ্ঞাত ছিল।
আরও পড়ুন, রাফালে চুক্তিকে ‘মোদী-আম্বানি জুটি’ বলে আক্রমণ রাহুলের
ফ্রান্স এবং ভারতের মধ্যে রাফালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০০৭ এর ‘মিডিয়াম মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এমএমআরসিএ)’ টেন্ডারের আওতায়। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে ৬টি সংস্থার সঙ্গে আলচনায় বসে কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রক। ওই আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন জার্মানির ইউরোফাইটার সংস্থা ডাসল্টের চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি ছাড় দিতে চেয়েছিল ভারতকে।
আধিকারিক জানিয়েছেন, হ্যালের তৈরি রাশিয়ান সুখোই-৩০ বিমান কিনলে আরও বেশি সংখ্যক যুদ্ধ বিমান কিনতে পারত ভারতীয় বায়ু সেনা। তবে ওই আধিকারিকের আপত্তিকে নাকচ করে দেন অ্যাকুইজিশন বিভাগের ডিজি। তিনি সুখোই-৩০ বিমানের পরিবর্তে রাফালে বিমান কেনার পক্ষে ছিলেন।
Read the full story in English