রাফাল মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রাফাল মামলার ১৪ ডিসেম্বরের রায়ের বিরুদ্ধে দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিস। একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরী এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। অন্য পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন আপের সাসংদ সঞ্জয় সিং।
কেন্দ্রের হয়ে এদিন আদালতে সওয়াল করতে এসে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল বলেন, যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত নথি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়ে গেছে এবং সে চুরির তদন্ত চলছে। তাঁর সওয়াল, রাফাল চুক্তি নিয়ে আবেদনকারীরা যে নথির উপর ভিত্তি করে রয়েছেন, তা গোপন এবং গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনকারী।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল ও কে এম জোসেফের বেঞ্চ ১৪ ডিসেম্বর রায় জানিয়ে দিয়েছিল, ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় নিয়ে কোনও আদালতের পর্যবেক্ষণে কোনও তদন্ত হবে না। একই সঙ্গে আদালত বলেছিল সরকার বাণিজ্যিকভাবে কাউকে কিছু পাইয়ে দিয়েছে এমন কোনও বাস্তবতাও নেই।
ওই রায় দেওয়ার পরদিনই কেন্দ্র আদালতের শরণাপন্ন হয়। ওই শুনানির সময়ে কেন্দ্র আদালতে যে নথি দাখিল করেছিল, তাতে লেখা ছিল যে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যুদ্ধ বিমানের দাম পরীক্ষা করে দেখেছে এ কথা লেখা থাকলেও, বাস্তবত তা হয়নি। এ সংক্রান্ত ভুল সংশোধন করার কথা কেন্দ্র আদালতকে জানায়।
এদিন আদালত রাফাল চুক্তির শুনানি স্থগিত করে দেওয়ার আগে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানান, তিনি আদালতে যে নথি দাখিল করেছেন তা তিনি পেয়েছেন বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে। এর আগে ২জি মামলা এবং সিবিআই ডিরেক্টর রঞ্জিত সিনহার বিরুদ্ধে মামলাতেও তিনি হুইসলব্লোয়ারদের কাছ থেকেই বিভিন্ন নথি পয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে বলেন, সে সব ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট ওই তথ্যের উপর নির্ভর করেছিল।
আরও পড়ুন, উত্তেজনার আবহ না কাটতেই কর্তারপুর নিয়ে ভারত-পাক আলোচনা
এদিনের শুনানির সময়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে আদালতে বলা হয়, "এফ ১৬-র মত যুদ্ধ বিমান, যারা সম্প্রতি আমাদের দেশে হামলা চালিয়েছে, তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আমাদের রাফাল প্রয়োজন। যদি রাফাল না থাকে তাহলে আমরা তাদের প্রতিরোধ করতে পারব না।" এর উত্তরে বিচারপতি কে এম জোসেফ কড়া ভাষায় কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেন, "দুর্নীতির প্রশ্ন উঠলে কি জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তাকে আড়াল করা যায়?"