/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/09/raghu1.jpg)
প্রয়াত প্রঘুবংশ প্রসাদ সিং
প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সদ্য আরজেডি ত্যাগী রঘুবংশ প্রসাদ সিং। রবিবার দিল্লির এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। করোনাভাইরাস পরবর্তী সমস্যার জন্য গত কয়েক সপ্তা ধরেই ধরে দিল্লির এইমসে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার ঘুবংশ প্রসাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। এ দিন সকালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মৃত্যু হয়।
১৯৯৭ সালে জনতা দলের জমানা থেকেই লালুপ্রসাদের সঙ্গী রঘুবংশ। দীর্ঘদিন আরজেডি সাংসদ ছিলেন রঘুবংশ প্রসাদ সিং। তবে বিহারে ভোটের মুখে লালুপ্রসাদ যাদবের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী রঘুবংশ প্রসাদ সিংহের দলত্যাগ বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণের নানা জল্পনা উস্কে দিয়েছিল। প্রায় ৩২ বছর তিনি লালু প্রসাদ যাদবের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। সে কথা স্মরণ করিয়ে ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছিলেন, জননায়ক কর্পূরি ঠাকুরের মৃত্যুর পর থেকেই তিনি দলে রয়েছেন। দলের সদস্য ও স্থানীয় মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। কিন্তু আর নয়। তাঁকে যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয়ে। মূলত দলের মধ্যে স্বজনপোষণ ও সামন্ত্রতান্ত্রিক পরিবেশকেই নিশানা করেছিলেন রঘুবংশ প্রসাদ। অবশ্য এর আগেও একবার দল ছাড়তে চেয়েছিলেন রঘুবংশ। কিন্তু সে যাত্রায় লালু প্রদাসের হস্তক্ষেপে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল রাষ্ট্রীয় জনতা দল। পরবর্তীতেও লালু-পুত্র তেজস্বী যাজবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঠিক হয়নি। যা রঘুবংশের দল ত্যাগের কারণ বলে মনে করা হয়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/09/ch442238.jpg)
বহু দিনের সাথীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে লালু প্রসাদ যাদব টুইটে লিখেছেন, 'প্রিয় রঘুবংশবাবু, এ আপনি কি করলেন? আমি গত পরশু আপনাকে বলেছিলাম যে, আপনি কোথাও যাচ্ছেন না। তবে আপনি অনেক দূর চলে গিয়েছেন। আমি বাকরুদ্ধ। আমি খুব দুঃখিত এবং আপনাকে মিস করব।'
प्रिय रघुवंश बाबू! ये आपने क्या किया?
मैनें परसों ही आपसे कहा था आप कहीं नहीं जा रहे है। लेकिन आप इतनी दूर चले गए।
नि:शब्द हूँ। दुःखी हूँ। बहुत याद आएँगे।
— Lalu Prasad Yadav (@laluprasadrjd) September 13, 2020
ইউপিএ ১-এর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী থাকালীন তাঁর হাত ধরেই দেশের বৃহত্তম জনকল্যাণমূলক প্রকল্প মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন বা মনরেগা-র সূচনা হয়। করোনাকালে গ্রামীণ অর্থনীতি তথা পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে জীবিকা নির্বাহে আশার আলো এই প্রকল্প।
বৈশালী কেন্দ্র থেকে টানা পাঁচবার লোকসভার সদস্য ছিলেন রঘুবংশ প্রসাদ সিং। তবে, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভায় পরাজিত হয়েছিলেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন