Rahul Gandhi: বছরভর চলা কৃষক আন্দোলনে কতজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সংসদে এই প্রশ্নের জবাবে, তথ্য নেই বলে দায় এড়িয়েছে কেন্দ্র। এবার এই জবাবকেই হাতিয়ার করে আসরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এক বছর ধরে চলা কৃষক বিক্ষোভে মৃত ৪০০ কৃষকের নাম প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর দাবি, ‘পঞ্জাব সরকার এই কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। কেন্দ্রের সরকার দাম্ভিক ও অমানবিক। তারা কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না। কৃষক আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায় না।‘
তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘একজন প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণ করতে পারে না। অত্যন্ত অনৈতিক, অসন্তুষ্ট এবং ভয়ে পিছিয়ে যাওয়ার মতো আচরণ।‘
এদিকে, শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুলের নিশানায় যখন মোদি, তখন এদিন সকালে সনিয়া-রাহুলকে আক্রমণ তৃণমূলের। এবার দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয় কলমে কংগ্রেসকে তুলোধনা তৃণমূলের। কংগ্রেস ‘ডিপফ্রিজে’ চলে গিয়েছে বলে বেনজির আক্রমণ জোড়াফুলের। ‘ডিপফ্রিজে কংগ্রেস’ শীর্ষক সম্পাদকীয় কলমে সোনিয়া-রাহুলদের নিশানা করেছে তৃণমূল। এক্ষেত্রে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের টুইটের একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৪-এর নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না বলেই মনে করেন দলের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ। খোদ কংগ্রেসের এই সিনিয়র নেতার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে এবার আক্রমণে তৃণমূল।
কংগ্রেসকে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কংগ্রেসকে সরিয়ে প্রধান বিরোধী দলের জায়গার দখল নেওয়ার চেষ্টায় জোড়াফুল, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আগামী দিনে মোদী বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব যে তাঁরা মেনে নেবেন না বারবার তা বোঝাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। একাধিকবার সোনিয়া-রাহুলদের নেতৃত্বে অনাস্থার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এবার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলা-য় কংগ্রেসকে বেনজির আক্রমণ তৃণমূলের।
এদিন ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয় কলমে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের মধ্যে সেই উত্তাপ, ঝাঁঝটাই যেন কমে গিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার পরেও কোথায় আক্রমণ। উল্টে দলের ভিতরেই শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে কোন্দল এবং দিনের শেষে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব গুলাম নবি আজাদের বিস্ফোরক টুইট। টুইটে কাশ্মীরি ওই নেতা পরিস্কার জানিয়ে দিলেন আগামী লোকসভা ভোটে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই কংগ্রেসের। ক্ষমতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে কংগ্রেস। যে কথা এতদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস বলে এসেছে, সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল গুলাম নবির কথায়।’
গতকাল প্রশান্ত কিশোরও একটি টুইট করেছিলেন। বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে তিনিও অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন। এদিন দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয় কলমে পিকে-র সেই টুইটেরও জিগির টেনেছে তৃণমূল। গতকাল তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে আক্রমণ করে টুইটে লিখেছিলেন, ‘কংগ্রেস যে চিন্তাভাবনা ও রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী তা বিরোধীদের শক্তিশালী করার জন্য অত্যাবশ্যক। কিন্তু বিরোধী জোটের নেতৃত্ব একজনের ঐশ্বরিক অধিকার নয়। বিশেষ করে যখন এই দলটি যখন গত ১০ বছরে ৯০%-এরও বেশি নির্বাচনে হেরেছে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন