Covid Relief Package: কোনও আর্থিক প্যাকেজ নয়। বরং আরও একটা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। মঙ্গলবার এভাবেই অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজের সমালোচনা করলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি চাঙা করতে আট দাওয়াই পেশ করেন নির্মলা সীতারমণ। যদিও সেই দাওয়াইকে কেন্দ্রের ঋণনীতি বলেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। গরিবদের হাতে নগদ তুলে না দিয়ে ঋণ প্রদান করে তাঁদের আরও ঋণগ্রস্ত করে তুলছে কেন্দ্র। এ ভাষাতেই সরব হয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা।
এদিন হিন্দিতে ট্যুইট করে সেই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর প্রদান করা আর্থিক প্যাকেজ দিয়ে কোনও পরিবার জীবন নির্বাহ করতে পারবে না। তাঁদের থাকা-খাওয়া, ওষুধ, শিশুশিক্ষা কিছুই সেই টাকায় পূরণ হবে না। এটা কোনও প্যাকেজ নয় বরং আরও একটা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি।‘
এদিকে, করোনার কারণে ধুঁকতে থাকা শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করতে আর্থিক ত্রাণ ঘোষণা অর্থ মন্ত্রকের। সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ৮টি পৃথক আর্থিক ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেন। সেই ৮টি প্রকল্পের মধ্যে ৪টি নতুন এবং একটি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন কল্পে ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন এমনটাই জানান অর্থমন্ত্রী। মূলত সঙ্কটে থাকা অর্থনীতিকে চাঙা করতেই অর্থ মন্ত্রকের এই এই ৮ দাওয়াই।
মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার লোন নিশ্চয়তা প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। কোভিড প্রকল্পে ধুঁকতে থাকা শিল্পকে উজ্জীবিত করতে এই লোন প্রদান করা হবে। এই কর্মসূচিতে বার্ষিক ৭.৯৫ শতাংশ সুদে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে শিল্পসংস্থাগুলি। গ্যারেন্টার হিসেবে থাকবে কেন্দ্র।
পর্যটন শিল্পকে চাঙা করতে পৃথক ঘোষণা করেছে অর্থ মন্ত্রক। এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ভ্রমণে বিনামূল্যে ৫ লক্ষ ট্যুরিস্ট ভিসা দেবে ভারত সরকার। সেই আর্থিক সাহায্য প্রায় ১১ হাজার নথিবদ্ধ ট্যুরিস্ট গাইড, ট্যুর এবং ট্রাভেল সংস্থাগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।‘ পাশাপাশি পর্যটনক্ষেত্রে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব ও প্রান্তিক মানুষের সাহায্যের ঘোষিত একাধিক প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানো হবে।‘ এদিকে, গত বছর মে মাসে লকডাউন আবহে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। গরিব কল্যাণ যোজনা এবং আত্মনির্ভর প্রকল্পে সেই আর্থিক প্যাকেজের একটি অংশ বরাদ্দ ছিল
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন