/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/09/modi-rahul-amit-shah.jpg)
ব্রাসেলসে রাহুল গান্ধী।
'ইন্ডিয়া বনাম ভারত' বিতর্কে মুখ খুললেন রাহিল গান্ধী। শুক্রবার ব্রাসেলসে প্রেসক্লাবে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এই কংগ্রেস সাংসদ। কাশ্মীর সহ 'গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমণ' থেকে নতুন দিল্লিতে G20 শীর্ষ সম্মেলনে নিয়ে এদিন কথা বলেছেন রাহুল।
কেন্দ্র 'ভারতের রাষ্ট্রপতি'-র নামে G20 শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণ পাঠানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল তা আসলে মোদী সরকারের কৌশল বলে দাবি করেছেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমাদের সংবিধানে যে নাম jরয়েছে তাতে আমি খুশি। ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত, আমি এতে সন্তুষ্ট। সরকারের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে। তাই এই বিভ্রান্তির কৌশল।'
গান্ধী ইউরোপীয় সফরে রয়েছেন। বিরোধীদের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছে তাতেই মোদী সরকার বিচলিত।
রাহুল গান্ধীর কথায়, 'আমরা অবশ্যই আমাদের জোটের নাম দিয়েছি INDIA। এটি একটি চমৎকার ধারণা। কারণ এই জোট আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা নিজেদেরকে ভারতের কণ্ঠস্বর বলে মনে করি এবং তাই শব্দটি খুব ভাল। তবে এটি স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রীকে বিরক্ত করেছে। তাই তিনি দেশের নাম পরিবর্তন করতে চান, যা অযৌক্তিক, কিন্তু এটাই হতে পারে।'
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে গান্ধী বলেন, 'এটা আকর্ষণীয় যে যতবার আমরা আদানি এবং পুঁজিবাদের ইস্যুটি উত্থাপন করি, প্রধানমন্ত্রী একটি নাটকীয় নতুন নজর ঘোরানো কৌশল নিয়ে আসেন। আদানি সম্পর্কে আমার প্রেস কনফারেন্সের ঠিক পরেই, একই কাজ হয়েছিল।'
কাশ্মীর নিয়ে নিজের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে, রাহুল বলেছেন, 'কাশ্মীর ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি আমাদের নিজস্ব ছাড়া অন্য কারও নয়। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি সুরক্ষিত এবং জনগণের কণ্ঠস্বর রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রতিটি অংশে।'
বিরোধী নেতা জি 20 তে বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ না করার জন্য সরকারকেও তিরস্কার করেছেন এবং বলেছেন যে এটি প্রমাণ করে যে 'বর্তমান নেতৃত্ব ভারতের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ নেতাদের মূল্য দেয় না।'
'আমাদের দেশের প্রকৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা'
"আমাদের দেশের প্রকৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের দেশকে রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, এবং আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের ইউনিয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর সদস্যদের মধ্যে কথোপকথন। এটি মহাত্মা গান্ধীর দৃষ্টিভঙ্গি। নাথুরাম গডসের দৃষ্টিভঙ্গি উল্টো। বিজেপি বিশ্বাস করে যে ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করা উচিত, সম্পদকে কেন্দ্রীভূত করা দরকার এবং ভারতের জনগণের মধ্যে কথোপকথনকে দমন করা উচিত।' দাবি রাহুল গান্ধীর।
কংগ্রেসের এই নেতার কথায়, 'ভারতে বৈষম্য এবং হিংসা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এটি আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ।'