ইডি দফতরে গেলেন না পাওয়ার, 'কেন্দ্র প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে' বলে অভিযোগ রাহুলের

প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার এত দিন ধরে যে যে বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছে, শরদ পওয়রজি তাতে নয়া সংযোজন: রাহুল গান্ধী

প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার এত দিন ধরে যে যে বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছে, শরদ পওয়রজি তাতে নয়া সংযোজন: রাহুল গান্ধী

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rahul Gandhi Sharad Pawar

রাহুল গান্ধী ও শরদ পাওয়ার

আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় শুক্রবার ইডির দফতরে যাননি এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। কিন্তু, এদিন সকাল থেকেই এনসিপি প্রধানের ইডির দফতরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন চলে। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী শিবিরের বহু নেতাই বর্ষীয়াণ এই নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। মোদী সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সকালে নিজের ট্যুইট করেন কংগ্রেসের প্রকাত্ন সভাপতি। তিনি লেখেন, "প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার এত দিন ধরে যে যে বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছে, শরদ পওয়রজি তাতে নয়া সংযোজন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই মহারাষ্ট্র নির্বাচনের এক মাস আগে এই সুযোগ নেওয়া হল।"

Advertisment

Advertisment

আন্না হাজারেও এই ইস্যুতে শরদ পাওয়ারের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, 'প্রকাশিত নথি দেখে স্পষ্ট যে শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। যারয়েছে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে। তাহলে কেন এনসিপি প্রধানকে ডাকা হল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।'

আরও পড়ুন: এনআরসিছুট ভোটাররা ‘ডি’ ভোটার হবেন না, জানাল কমিশন

আর্থিক তছরুপ মামলায় শুক্রবার দুপুরে ২টোয় দক্ষিণ মুম্বইয়ে ইডি-র দফতরে যাওয়ার কথা ছিল শরদ পওয়ারের। সেই খবর কানে যেতেই বিক্ষোভের ডাক দেন এনসিপি সমর্থকরা। কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে ইডি-র দফতর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌঁছবেন বলে জানিয়ে দেন। সেই মতো এ দিন সকাল থেকেই ইডি-র ভিড় জমতে শুরু করে। তাতেই বিপাকে পড়ে মুম্বই পুলিশ। শরদ পওয়ারের দ্বারস্থ হয় তারা। কয়েক হাজার লোক রাস্তায় নামলে শহরের আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে, তাই তাঁকে সিদ্ধান্ত বদলের আর্জি জানান পুলিশ কমিশনার। সেই অনুরোধ রাখেন শরদ পওয়ার।

তদন্তকারীদের সামনে শরদ পওয়ার নিজে যেখানে হাজির হতে চাইছেন, সেখানে ইডি-র তরফে আপত্তি করা হচ্ছে কেন, এই প্রশ্নও তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইডি সূত্রে খবর, তদন্ত কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা ঠিক করে রেখেছেন তদন্তকারীরা। প্রথমে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। রাজ্যের কোন কোন রাজনীতিকের সঙ্গে তাঁদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল খতিয়ে দেখা হবে তা-ও। একেবারে শেষ পর্যায়ে ডেকে পাঠানো হবে শরদ পওয়ারকে।

Read the full story in English

rahul gandhi