লাদাখের গালওয়ানে লাল-ফৌজ চিনের পতাকা উত্তোলন করছে। সম্প্রতি সেই ছবি ঘিরেই দেশের প্রতিরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও পরে দিল্লি দাবি করেছে ওই ছবিটি চিনের অংশের। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের প্রকাশ্যে আরও এক উপগ্রহ চিত্র। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে প্যাংগং তসো-তে একটি নতুন সেতু নির্মাণ হয়েছে। যা করেছে চিন। প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীরের মধ্যে দ্রুত সেনা মোতায়েন করার জন্য এই সেতু অতিরিক্ত সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়েই এখনও কেন্দ্র নীরব। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
টুইটে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা বধিরের মতো। আমাদের ভূমি, আমাদের মানুষ, আমাদের সীমান্ত আরও ভালোর যোগ্য।'
১৫ জুন ২০২০ সালের ভারত-চিনা সেনার সংঘর্ষের পর থেকে লাদাখ নিয়ে এখনও সমাধান মেলেনি। যা নিয়ে এর আগেও মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ।
কংগ্রেস নেতা একটি সংবাদ প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেছেন যে, চিনারা দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে প্যাংগং হ্রদে একটি সেতু নির্মাণ করছে যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে। সেতুটি লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীরকে সংযুক্ত করবে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সূত্রগুলি জানিয়েছে যে সেতুটি এই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এবং ভারতও এই অঞ্চলে দ্রুত গতিতে পরিকাঠামো উন্নত করছে। ভূ-গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন টুইটারে একটি স্যাটেলাইট ইমেজ পোস্ট করেছেন। সেখানেই এই সেতুর উপগ্রহ চিত্র শেয়ার করা হয়েছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে খুরনাক এলাকায় সেতুটি নির্মাণের উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা হল, এটা নিশ্চিত করা যে চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এই অঞ্চলে তাদের সেনাদের দ্রুত সংগঠিত করতে মরিয়া। ভারতীয় সামরিক সূত্র জানিয়েছে যে ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি করছে এবং ভারত এই অঞ্চলে চিনা কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন।
Read in English