Rahul Gandhi: মোদী সরকার বেচতে ব্যস্ত। তাই নিজের যত্ন, নিজেই নিন। দেশবাসীকে এই বার্তা দিয়ে বৃহস্পতিবার ট্যুইট করলেন রাহুল গান্ধি। স্পষ্টতই তাঁর এই ট্যুইট কেন্দ্রের গৃহীত ন্যাশনাল মনেটাইজেশন পাইপলাইনকে কটাক্ষ করে। তিনি বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক। টিকাকরণের গতি বাড়ানো প্রয়োজন। তাতেই আগামি ঢেউগুলোতে ব্যাপক সংক্রমণ আটকান যাবে। সরকার যেহেতু সব বিক্রি করতে ব্যস্ত। তাই নিজের যত্ন আপনারা নিজেই নিন।‘ এদিকে, দেশজুড়ে যখন তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন ভারতের জন্য কিছুটা আশার বাণী হুয়ের গলায়। সম্ভাবনা উসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানান, ভারতে সম্ভবত করোনার এন্ডেমিক শুরু হয়েছে। এন্ডেমিক মানে শেষের শুরু। অর্থাৎ হুয়ের প্রধান বিজ্ঞানী বলেছেন ভারতে এই অতিমারীর শেষের শুরু সম্ভবত শুরু হয়ে গিয়েছে।
গবেষকদের মত, এন্ডেমিক মানে ভাইরাসের সঙ্গে জীবনযাপন। তাকে নিয়েই ঘর করা। সেই পর্যায়ের দিকেই ভারত এগোচ্ছে, এমনটাই মনে করেন সৌম্যা। খানিকটা স্বস্তি দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা এন্ডেমিকের এমন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি, যেখানে সংক্রমণের কম বা মাঝারি প্রভাব দেখা যাবে। কিন্তু কয়েকমাস আগের মতো সংক্রমণের অতিমারী রূপ দেখা যাবে না।‘
তাঁর ভবিষ্যৎবাণী, ‘আগামি বছরের মধ্যেই অতিমারী পূর্ব জীবনে ফিরতে পারবে ভারত।‘ এমনকি, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণ শঙ্কা বেশি। এই উদ্বেগ প্রসঙ্গে হুয়ের বিজ্ঞানীর পরামর্শ, ‘অতটা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।‘
তবে হুয়ের বিজ্ঞানী যাই বলুক, সতর্কতা থেকে পিছু হটছে না দেশ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় এক কমিটি সতর্ক করে রিপোর্টে বলেছে, দেশে এখন তৃতীয় ঢেউ চলছে। অক্টোবরে শিখর ছোঁবে এই ঢেউয়ের সংক্রমণ। তাদের আশঙ্কা যে গতিতে ভারতে টিকাকরণ চলছে, তাতে আগামি ঢেউগুলোতে দৈনিক ৬ লক্ষ পর্যন্ত সংক্রমণ হতে পারে দেশে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন