শীর্ষ আদালতে রাফালে রায়ের পর মোদীর সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। স্লোগান তুলেছিলেন 'চৌকিদার চোর হ্যায়'। বুধবার তার জন্য আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের রায় অবমাননার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি।
শীর্ষ আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে রাহুল জানান, মহামান্য আদালতকে তিনি সর্বোচ্চ সম্মান দেন। সঙ্গে আর্জি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা যেন তুলে নেয় আদালত। আদালত রাহুলকে আগেই জানিয়েছিল হয় তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, না হয়, শাস্তি পেতে হবে। তারপরেই আদালতে তিন পাতার হলফনামা জমা দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি জানান তিনি অনুতপ্ত। নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়নি হলফনামায়। তাছাড়া 'অনুতপ্ত' শব্দটিও ব্যবহার করা হয়েছিল বন্ধনীর মধ্যে।
আরও পড়ুন, বড় বিপাকে ভারতী? কলকাতা থেকে ভিডিও গেল দিল্লিতে
বিজেপি সাংসদের আবেদনের শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এসকে কউল এবং বিচারপতি কেএম জোসেফের বেঞ্চ রাহুলকে নতুন করে হলফনামা জমা দেওয়ার অনুমতি দেয়। একই সঙ্গে এও জানানো হয়, হলফনামা গৃহীত হবে কি না, তা একান্তই শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত।
রাফালে চুক্তি সংক্রান্ত কিছু নথি কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে দিতে অস্বীকার করলে রাহুল বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেই দিয়েছে যে চৌকিদার চুরি করিয়েছেন"।
২২ এপ্রিলের হলফনামায় রাহুল গান্ধী বলেন, "আমার স্লোগান রাজনৈতিক প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল"। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, "বন্ধনীর মধ্যে অনুতাপ প্রকাশের অর্থ কী? পুরোপুরি ক্ষমা চাওয়া হল না কেন হলফনামায়"?
Read the full story in English