শীঘ্রই বদলে যেতে পারে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বাড়ির ঠিকানা। সাংসদ পদ হারানোর পর সরকারি বাংলো খালি করে দেন রাহুল। তারপর থেকে মা সনিয়ার বাংলোতেই ছিলেন কংগ্রেস নেতা। এবার ফের ঠিকানা বদল। জানা গিয়েছে যে তিনি দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন ইস্ট বি২ অঞ্চলের একটি ফ্ল্যাটে উঠতে চলেছেন। ১৯৯১ সালে এই ফ্ল্যাটটি কেনেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। তাঁরই স্মৃতি মাখা ফ্ল্যাটই এবার হতে চলেছে রাহুলের নয়া ঠিকানা। শীলা দীক্ষিতের এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন তাঁর ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত। রাহুলের তরফে সবুজ সংকেত মেলায় তিনি ফ্ল্যাট খালি করে দিতে সম্মত হয়েছেন।
মোদী পদবি মানহানি মামলায় সাংসদ হারানোয় রাহুল গান্ধীকে ১২ তুঘলক লেনে অবস্থিত সরকারি বাংলোটি খালি করতে হয়েছিল। রাহুল গত ১৯ বছর ধরে এই বাংলোতে বসবাস করছিলেন, তারপর থেকেই মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেই ১০ জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে থাকছিলেন তিনি।
সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অফিস রয়েছে। এর পাশাপাশি সনিয়ার নিরাপত্তা থাকা আধিকারিকরা, তার কর্মী ও অফিস আগে থেকেই রয়েছে সেখানে। ফলে সেখানে জায়গার কিছু সমস্যা হচ্ছিল রাহুলের। এ কারণে নতুন বাড়ি খুঁজছিলেন রাহুল গান্ধী।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রাহুল দিল্লিতে বেশ কয়েকটি বাড়িও দেখেছিলেন, তবে অনেক চিন্তাভাবনার পরে তিনি শীলা দীক্ষিতের এই ফ্ল্যাটটিকেই থাকার জন্য বেছে নেন। ফ্ল্যাটটি ১৫০০ বর্গফুট। লিফটও রয়েছে।
১৯৯১ সালে এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন শিলা দীক্ষিত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং কেরালার রাজ্যপালের পদ ছাড়ার পর শীলা দীক্ষিত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই বাড়িতেই থাকতেন। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাট নিয়ে সন্দীপ দীক্ষিতের সঙ্গে কথা বলেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল, তার কর্মী এবং সিকিউরিটি আধিকারিকরাও ইতিমধ্যেই এই বাড়ি দেখেছেন। সঠিক ভাড়ার চুক্তি করার পরেই রাহুল এখানে ঠিকানা বদল করতে চান।
হুমায়ুন সমাধির ঠিক সামনেই এই তিন বেডরুমের ফ্ল্যাট। এখন পর্যন্ত শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ তার পরিবারের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন। এখন রাহুল হ্যাঁ বলার তিনি ফ্ল্যাটটি খালি করে দিয়ে কাছেই অন্য এক বাড়িতে শিফট করেছেন।