Rahul Gandhi: দিল্লিতে নিগৃহীতা নাবালিকার বাবা-মায়ের ছবি-সহ রাহুল গান্ধির করা ট্যুইট মুছল ট্যুইটার ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যে এই ট্যুইট করে বিপাকে কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইন ভাঙার অভিযোগ তুলেছে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন বা এনসিপিসিআর। তার পরেই মাইক্রোব্লগিং সাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হল ওই বিতর্কিত ছবি-সহ রাহুলের ট্যুইট।
রবিবার দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শ্মশানের প্রধান পুরোহিত ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ।গতবছর উত্তরপ্রদেশে ঘটে যাওয়া হাথরস-কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে পরিবারকে না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ দাহ করা হয়। এমনটাই অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবার। বুধবার ওই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, ‘এঁদের চোখের জল একটাই কথা বলতে চাইছে— তাঁদের মেয়ে, এই দেশের মেয়েটির সুবিচার প্রাপ্য। এই লড়াইয়ে আমি তাঁদের সঙ্গেই আছি।’
কংগ্রেস সাংসদের এই টুইট ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। নাবালিকার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ্যে এনে জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৭৪ এবং পকসো আইনের ২৩ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছেন রাহুল। এই মর্মে টুইটারকে চিঠি দিয়েছিল এনসিপিসিআর। রাহুলের টুইটার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার রিপোর্টও তিন দিনের মধ্যে চেয়ে পাঠিয়েছিল কমিশন। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বাড়তে থাকায় তড়িঘড়ি ওই ছবি-টুইট মুছে ফেলল টুইটার। রাহুলকে বার্তা পাঠিয়ে ট্যুইটার ইন্ডিয়া লিখেছে, ‘ট্যুইটার আইন ভেঙেছে এই ট্যুইট।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন