Rahul Gandhi: ভারত-সহ পড়শি দেশেও ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে ৭১ যুদ্ধজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। বাংলাদেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মোদি সরকারের তরফেও দিল্লিতে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্রাত্য ইন্দিরা গান্ধি। ৭১ মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সরকারি তরফে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম। বৃহস্পতিবার অভিমানের সুরে এমন অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধি।
এদিন এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘দেশের জন্য ইন্দিরা গান্ধি বুকে ৩২টি গুলি নিয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের উদযাপনে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর নাম নেই। তাতেও কোনও পার্থক্য আসবে না। কারণ আমি জানি উনি, নিজের রক্তের বিনিময়ে দেশের জন্য কী করেছেন।‘ বৃহস্পতিবার ভোটমুখী উত্তরাখণ্ডের এক প্রাক-নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধি। সেখানেই এভাবে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিমানী সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।
প্যারেড গ্রাউন্ডের এই অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, ‘ভারতীয় বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের ১৩ দিনের মাথায় জয় এসেছে। কিন্তু এই জয় এককভাবে কোনও সশস্ত্র বাহিনী কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কৃতিত্ব নয়। এই জয় ঐক্যবদ্ধ ভারতের জয়। সেই সময় লক্ষাধিক পরিবার তাঁদের ঘরের সোনা বেঁচে অর্থ তুলে দিয়েছিল সরকারকে। সাহায্য করেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ে।‘
এদিকে, ১৯৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-জয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ পালন করা হচ্ছে দেশজুড়ে। পাক বাহিনীকে হারিয়ে ভারতের সেই জয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ”অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি এবং তাদের হারিয়েছি।” এভাবেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১-এর যুদ্ধ জয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৭১-এর বীর যোদ্ধাদের স্মৃতিতে এদিন শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের।
উল্লেখ্য, ১৯৭১-র যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ী হয় ভারত। পাকিস্তান ভেঙে তৈরি হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই থেকে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে লিখেছেন, “৫০তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, বীরাঙ্গনা ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী হৃদয়ের যোদ্ধাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করি। অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি এবং তাদের হারিয়েছি।”
“১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ভারতের সামরিক ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়”, এদিন বিজয় দিবসে এমনই মন্তব্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। টুইট তিনি এদিন লিখেছেন, “স্বর্ণিম বিজয় দিবস’ উপলক্ষে আমরা ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সাহস এবং আত্মত্যাগকে স্মরণ করি।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন