ভোটের মুখেই রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির খোঁজ। রাজ্য জুড়ে ২৫ জায়গায় তল্লাশি ইডির। রাজস্থান জুড়ে সকাল থেকেই চলছে ইডির অভিযান। আইএএস অফিসারের বাংলো সহ ২৫ জায়গায় চলছে ম্যারাথন তল্লাশি। 'জলজীবন মিশন' মামলায় এবার কড়া পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) রাজস্থানের ২৫ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। সূত্রের খবর এক আইএএস আধিকারিকের বাংলো সহ মোট ২৫ টি স্থানে ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জলজীবন মিশন কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডি-র আজকের পদক্ষেপ। গত কয়েক সপ্তাহে রাজস্থানের একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।
রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) রাজস্থানে জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে। শুক্রবারও, জলজীবন মিশন কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপ মামলায় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় ইডি আধিকারিকরা রাজ্যের বেশ কিছু মন্ত্রী এবং আইএএস অফিসারদের বাসস্থান সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায়।
সরকারী সূত্র জানিয়েছে, দৌসা এবং রাজ্যের রাজধানী জয়পু্র সহ মোট ২৫টি স্থানে এদিন সকাল থেকেই অভিযান চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সেপ্টেম্বরেও একই ধরনের অভিযান চালিয়েছিল। সাংসদ কিরোদি লাল মীনা জলজীবন মিশনে ২০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছিলেন।
জুন মাসে, মীনা একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, 'প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালের বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন যে প্রতিটি ঘরে বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ জল সরবরাহে হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে'। পাশাপাশি বেআইনিভাবে টেন্ডার পাওয়া, ও বেআইনি আরও একাধিক কাজের অভিযোগে রাজস্থানের অ্যান্টি-কোরাপশন ব্যুরোর তরফেই প্রথম আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই তৎপর হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শুক্রবার, রাজস্থানের জল জীবন মিশন সম্পর্কিত ২০ হাজার কোটি টাকার কথিত কেলেঙ্কারিতে অভিযান শুরু করেছে ইডি। ইডির আধিকারিকরা পিএইচইডি মন্ত্রী মহেশ যোশীর অফিস এবং রাজধানী জয়পুরে আইএএস অফিসার সুবোধ আগরওয়ালের বাড়িতে হানা দিয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে চলছে অভিযান। জল জীবন মিশনের অধীনে, সরকার দুটি সংস্থাকে ৯০০ কোটি টাকার টেন্ডার দিয়েছিল। বেআইনিভাবে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। যেখানে জিআই পাইপ বসানোর কথা, সেখানে প্লাস্টিকের পাইপ বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালের জুনে, এমপি কিরোদি লাল মীনা মিশনে ২০হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ করেছিলেন।