৩৭০ ধারা রদের তিন মাস পর, মঙ্গলবার থেকে কাশ্মীরে রেল পরিষেবা ফের চালু হল। জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার পরই সুরক্ষার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা উপত্যকাকে। সুরক্ষার খাতিরে স্থগিত রাখা হয়েছিল রেল পরিষেবাও।
তবে শুধু রেল নয়, কাশ্মীরের বাটোয়ারা-বাটামালু পথে বেশ কয়েকটি মিনি বাসও চলাচল করেছে। বিভিন্ন জেলার মধ্যে ক্যাব ও অটোরিক্সা চলাচলও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন
রেলওয়ের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে বারমুল্লা ও শ্রীনগরের মধ্যে একটি ট্রেনও চলেছে। তিনি জানান, সুরক্ষার কারণেই রেল কর্তৃপক্ষ সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটের মধ্যে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ জারি করেছে।
উপত্যকায় অঘোষিত অচলাবস্থা চালুর তিন মাস পর, সোমবার প্রথম রেল এই পথে ট্রেনের ট্রায়াল রান চালানো হয়।
আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রীনগর-বানিহাল রেলপথে রেল ট্র্যাকের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালানোর পর কয়েকদিনের মধ্যেই সে রুটে রেল চলাচল শুরু হয়ে যাবে।
উপত্যকার রেল পরিষেবা ৫ অগাস্ট সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংবিধানের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি এবং রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরেই উপত্যকা জুড়ে অঘোষিত অচলাবস্থা শুরু হয়। মঙ্গলবার সে পরিস্থিতির ১০০ দিন পূর্ণ হল।
আরও পড়ুন- কে বানাবে রাম মন্দির? অযোধ্যায় তুমুল বাক-বিতণ্ডা
সরকারি এক আধিকারিক বলেন, "ব্যবসায়ীরা একটি নতুন পন্থা অনুসরণ করে চলেছে। ভোর থেকে দুপুর অবধি বাজার খোলা থাকলেও রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা রদের প্রতিবাদে শাটার নামিয়ে প্রতিবাদও করছেন তাঁরা।"
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট থেকে উপত্যকায় বন্ধ ছিল মোবাইল পরিষেবা। গৃহবন্দি করা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে। এমনকি আটক করা হয়েছিল লোকসভার শ্রীনগরের সাংসদ ফারুক আবদুল্লাকেও।
Read the full story in English