/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/Train-Accident.jpg)
বুধবার থেকে ফের বালাসোরে ট্রেন পরিষেবা চালু করতে চলেছে রেল মন্ত্রক। জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। তারমধ্যেই রেলবোর্ড জানিয়েছে, সবুজ সংকেত পেয়ে করমণ্ডল লুপ লাইনে প্রবেশ করেছিল। যার ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ঘটনা পরম্পরা ব্যাখ্যা করেছেন রেল বোর্ডের কর্তারা। রেলবোর্ডের দুই গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক সিগনালিংয়ের প্রধান নির্বাহী পরিচালক সন্দীপ মাথুর ও অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্টের সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা রবিবার দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। রেল বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছেন, ইন্টারলকিং সিস্টেমের কার্যকারিতায় প্রাথমিকভাবে সমস্যা ছিল। যাকে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জয়া ভার্মা সিনহা জানিয়েছেন, 'সবুজ সংকেত মানেই চালক জানেন যে তাঁর সামনের পথ পরিষ্কার। আর, তিনি তাঁর অনুমোদিত সর্বোচ্চ গতিতে এগিয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে অনুমোদিত গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তিনি ট্রেনটি প্রতিঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার বেগে চালাচ্ছিলেন। সেটা আমরা লোকো লগ থেকে জানতে পেরেছি। আর বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘন্টায় ১২৬ কিলোমিটার বেগে চলছিল। দুটি ট্রেনেই অতিরিক্ত গতির কোনও প্রশ্নই ছিল না। যা ছিল সবটাই সিগনালিংয়ের সমস্যা। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে।'
জয়া ভার্মা সিনহা বলেন, 'শুধুমাত্র একটি ট্রেনেরই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেটা হল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেস পণ্যবাহী ট্রেনকে ধাক্কা মারে। তার জেরে পণ্যবাহী ট্রেনের ওপরে উঠে যায়। পণ্যবাহী ট্রেনটিতে লৌহ আকরিক বোঝাই ছিল। যার ফলে ট্রেনটি অত্যন্ত ভারী ছিল। তাই সংঘর্ষে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
আরও পড়ুন- বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার দায় কার, কীভাবে তৈরি হল এই ভয়াবহ পরিস্থিতি?
রবিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে দূরদর্শনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো বলেন, 'কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) গতকাল ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি সর্বস্তরীয় মানুষের কাছ থেকে বিবৃতি নিয়েছেন। তদন্তের কাজ দ্রুত এগিয়েছে। দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা এই কাজটি করেছেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। সিআরএসের তদন্ত রিপোর্টে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তাড়াতাড়ি জানা যাবে।'