দেশে ভয়াবহ করোনার থাবা। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড স্পর্শ করছে। তার মধ্যেও গড়াচ্ছে রেলের চাকা। কিন্তু করোনাকালে আর কতদিন স্বাভাবিক ছন্দে রেল চলাচল করবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, গত কয়েক সপ্তাহে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ভারতীয় রেলের ৯৩ হাজারের বেশি কর্মী। ফলে মারাত্মক কর্মীর অভাবে ভুগছে রেল।
সংক্রমণ বাড়ায় দেশজুড়ে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। রেলের মাধ্যমে নানা প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে অক্সিজেন। লকডাউনের ভয়ে বাড়ি ফিরছেন লাখ লাখ পরিযায়ী। এই পরিস্থিতিতে রেলের চাকা থমকালে বিপদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দাবি, পরিষেবা থমকাবে না। তবে, কর্মীর অভাবে ট্রেনের সফরসূচিতে কিছু বদল করা হয়েছে।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও সুনীত শর্মার কথায়, 'বর্তমানে কম-বেশি প্রায় ৯৩ হাজার রেল কর্মী করোনা আক্রান্ত। এঁদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি হতে না হলেও পরিস্থিতি জটিল। একাধিক সহকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার যেমন, রেলের চালক, গার্ড, স্টেশন মাস্টার, টিটি, দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীরাই বেশি আক্রান্ত। ভারতীয় রেলের ৭২টি হাসপাতালের কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের কোভিড চিকিৎসা চলছে।'
ভারতীয় রেলের কর্মী সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। এর মদ্যে বেশিরবাগ ফ্রন্ট লাইন কর্মী হওয়ায় লকডাউনের পর স্বাভাবিক পরিষেবা চালু রাখতে বেগ পাচ্ছে রেল। সংস্থার এক সিনিয়ান অফিসারের কথায়, 'রেলওয়ে হাসপাতালের তথ্য অনপসারেই আক্রান্তের সংখ্যা লাখের কাছাকাছি। আদতে এই সংখ্যা আরও বেশি। ভয়ঙ্কর কর্মী অভাবে ভুগছে রেল।'
দুরপাল্লা, লোকাল, সাবারবান, পণ্যবাহী ট্রেন সহ বর্তমানে নিত্য ১৭ হাজার ট্রেন চলাচল করে। এর জন্য প্রয়োজন মূন্যতম ৩ লক্ষ কর্মী। এরপর গ্রীষ্মে বহু বিশেষ ট্রেন চলে। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, 'গত বছরের থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলছে বেশি। প্রায় ৮০ শতাংশ প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করছে। সচল ৯০ শতাংষ সাবারবান ট্রেনও।'
এই অবস্থাতেও পরিষেবা সচল রাখতে তৎপর ভারতীয় রেল। রুটে সামান্য অদলবদলকরে বেশি দূরত্বের রেল চলাচল করানো হচ্ছে। যেসব রুটের চাহিদা বেশি সেখানে বেশি ট্রেন চলছে। পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দাবি রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন