কেন্দ্রের মোদী সরকারের গর্বের রেল প্রকল্প বন্দে ভারত। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন পরিষেবা দিচ্ছে। আপাতমস্তক ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তুফান গতির এই ট্রেনের পরিষেবাও যাত্রীদের কাছে বেশ পছন্দের হয়েছে। এবছরের ১৫ অগাস্টের মধ্যে দেশজুড়ে ৭৫টি বন্দে ভারত ছোটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রক। একইসঙ্গে ট্রেনের গতি বাড়ানোরও জন্যও রেল ট্র্যাকগুলির আধুনিকীকরণের কাজও চলছে জোর কদমে।
তবে রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দে ভারতের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৬ কোচের বদলে ৮ কোচের ট্রেন তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আট কোচের বন্দে ভারত ট্র্যাকে নেমেছে। আট-কোচের দিল্লি-দেহরাদুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গড় স্পিড ৬৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দেহরাদুন থেকে এই ট্রেনের সূচনা যাত্রা। এর ঠিক পরের সপ্তাহেই গুয়াহাটি এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে আরও একটি আট কোচের রেক ফ্ল্যাগ অফ করা হবে। দেশের উত্তর-পূর্বকেও বন্দে ভারতের রুট ম্যাপে আনা হবে।
আরও পড়ুন- জামাইষষ্ঠীতে ঝেঁপে বৃষ্টির পূর্বাভাস একাধিক জেলায়, দাপট দেখাবে কালবৈশাখীও
বন্দে ভার এক্সপ্রেস নিয়ে এর আগে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব 'এক্সপ্রেস আড্ডা'য় মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "শীঘ্রই আমরা প্রতি তিন দিনে একটি ট্রেন চালু করতে সক্ষম হব।"
আরও পড়ুন- কোলাহলহীন নিরিবিলি পরিবেশ, শান্ত-স্নিগ্ধ পাহাড়ি গ্রামে মেলে মনের স্বস্তি, প্রাণের সুখ!
দেখা গিয়েছে ১৮টি বন্দে ভারতের গড় গতি রাজধানী এবং শতাব্দীর মতো সুপারফাস্ট ট্রেনগুলির মতোই। ওই ট্রেনগুলি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে চলতে পারে। রেলের এক মুখপাত্র বলেছেন, "ট্রেনের স্থায়ী গতির ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ হল একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া। এতে ডিআরএম এবং জিএম-রা নিযুক্ত থাকেন।"
আরও পড়ুন- চড়ছে রাজনৈতিক পারদ, সংসদ ভবন উদ্বোধনে বিরোধী ঐক্যে জোর ধাক্কা