Advertisment

ভারতীয় রেলে বন্ধ হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন রীতি

ডাকের পরিবর্তে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিচ্ছে রেল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রেলে বন্ধের পথে ব্রিটিশ আমলের রীতি।

ব্রিটিশ আমল থেকেই রেলে ডাক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু মহামারীর কোপে এবার রেলেই এই ডাক ব্যবস্থা। খরচ কমাতে ডাক ব্যবস্থা বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে রেল বোর্ড। লুপ্ত হবে ডাক মেসেঞ্জার পদ। ডাকের বদলে পরিবর্তে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিচ্ছে রেল।

Advertisment

চলতি বছর মে মাসে রেলের আয় প্রায় ৫৮ শতাংশ কমে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, ডাক কর্মীদের বেতন ছাড়াও পরিষেবা চালু রাখতে অন্যান্য খরচও অত্যন্ত বেশি। যা এই মুহূর্তে রেলের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই ডাক ব্যবস্তা তুলে দিতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ।

২৬ জুলাই প্রকাশিত রেলের চিঠিতে বলা হয়েছে যে, প্রাতিষ্ঠানিক খরচ কমানো এবং সঞ্চয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার থেকে গোপন নথিপত্র ইমেলের মাধ্যমে আদানপ্রদান হবে হবে। এছাড়াও আলোচনার দরকার হলে ভিডিও কনফারেন্স করে তা হবে। এর ফলে শুধু কর্মী সংখ্যা কমবে তাই নয়, পরিবহণ, স্টেশনারি, ফ্যাক্স ইত্যাদি বাবদ খরচও কমানো যাবে। উল্লেখ্য, এখন বেশিরভাগ যোগাযোগ ইমেল মারফত হওয়ার ফলে ডাক মেসেঞ্জারদের কাজও কমে গিয়েছিল।

ডাক মেসেঞ্জার ব্যবস্থার মাধ্যমে রেলে গোপনীয় নথিপত্র এক দফতর থেকে অন্য দফতরে পাঠানোর রেওয়াজ বহুকালের। যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকল্প না থাকাতেই তৈরি হয়েছিল এই মেসেঞ্জার পদ। কিন্তু পরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও ওই পদ ও ডাক পাঠানোর রীতি রয়ে গিয়েছিল রেলে। পিওনরাই ডাক মেসেঞ্জারের কাজ করতেন। এবার তা বিলোপের পথে ভারতীয় রেল।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মেসেঞ্জারদের নিত্য পরিবহণ খরচ ৫০০ টাকা ও মেসেঞ্জারদের ভাতা ৮০০ টাকা। দূরবর্তীস্থানে গেলে মেসেঞ্জারদের রাজধানী ট্রেনের বাতানুকূল ত্রিস্তরীয় কামরার অর্থ প্রদান করা হয়।

এই মূহুর্তে রেলে প্রায় পাঁচ হাজার ডাক বার্চতাবহক বা মেসেঞ্জার রয়েছেন। এঁদের জন্য় বছরে সংস্থার আনুমানিক প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। উল্লেখ্য, খরচ কমাতে সম্প্রতি নতুন পদ তৈরির প্রক্রিয়াও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

indian railway
Advertisment