Advertisment

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাকা তৈরি হবে বেঙ্গালুরুতে, বড় ঘোষণা ভারতীয় রেলের

যুদ্ধের কারণে যাতে মোদীর সেই স্বপ্ন স্থগিত না হয় তার জন্যই বেঙ্গালুরুতেই তৈরি করা হবে সেই চাকা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Vande Bharat Train

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ট্রেন৷

ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষের কারণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাকা আমদানীতে বড় ধাক্কা ভারতের। ভারতীয় রেলওয়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে বন্দে ভারত ট্রেনের চাকা তৈরিতে ব্যবহার করা হবে দেশীয় প্রযুক্তি। বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কায় চাকা তৈরির সিধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।

Advertisment

যুদ্ধে আবহে ইউক্রেনে আটকে মোদীর স্বপ্নের বন্দে ভারতের চাকা! আগামী মাসেই এই চাকাগুলিকে এয়ারলিফ্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের উন্নয়নকে যেই গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তারই প্রতীক বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।

তাই যুদ্ধের কারণে যাতে মোদীর স্বপ্ন স্থগিত না হয় তার জন্যই বেঙ্গালুরুতেই তৈরি করা হবে সেই চাকা। উল্লেখ্য, এই ট্রেনের চাকা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল এক ইউক্রেনীয় সংস্থাকে। তবে সেই চাকার ডেলিভারি নেওয়ার আগেই রাশিয়া হামলা করে দেয় ইউক্রেনে। ফলে আটকে পড়ে ভারতের অর্ডার করা সেই চাকাগুলি

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ট্রেন৷ ২০১৯ সালে প্রথম পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছিল এই হাইস্পিড ট্রেন৷ ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে বারাণসী এবং দিল্লির মধ্যে প্রথমবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়েছিল৷ চেন্নাইয়ের আইসিএফ কারখানায় তৈরি হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে এই ট্রেন সম্পূর্ণ ভাবে ভারতে তৈরি করা হয়৷

আরও পড়ুন: ফের কোপ মধ্যবিত্তের হেঁশেলে, আরও দামী রান্নার গ্যাস

এই মুহূর্তে বারাণসী দিল্লি এবং দিল্লি ও জম্মুর কাটরা পর্যন্ত দু’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে৷ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যে প্রস্তাবিত রুটগুলি রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও৷ এর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আরও ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে সেই লক্ষ্যমাত্রাই আরও বাড়ানো হয়েছে৷

ভারতীয় রেলওয়ে ইয়েলহাঙ্কার রেলওয়ে হুইল ফ্যাক্টরিতে চাকা তৈরি করা শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্পাদন শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় দরপত্র জমা নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে৷ আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে উৎপাদন শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা।

Read story in English

Advertisment