বর্ষার শুরুতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু পাঁচজনের। সোমবার বজ্রপাত-সহ ভারী বৃষ্টি হয় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। মৃতদের মধ্যে পুরুলিয়ার ভোমরাগরা গ্রামে নিহত হয় ৭ বছরের এক বালক। অন্যদিকে বসিরহাট এবং উত্তর ২৪ পরগনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুজন। চাপড়া গ্রামের বাসন্তি ব্লকে এক মহিলা সহ উত্তর চন্দনপিরি গ্রামের নামখানা ব্লকে মৃত এক। বজ্রপাতের এই প্রকোপ থেকে বাদ পড়েনি কলকাতাও। আহত হয়েছেন বিমানবন্দরের এক কর্মী। পাশাপাশি কোচবিহার জেলার সুতুঙ্গা নদীর মাখিলগঞ্জ এলাকায় বজ্রপাতে নিহত ১৮ বছরের এক যুবক।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার প্রকোপে আগামী ২৯ জুন অবধি দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৫ জুন থেকে ২৯ জুন বজ্রবিদ্য়ুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতেও। কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর থেকে জেলেদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিন মোটামুটি লাগাতার বৃষ্টির কবলে থাকবে দক্ষিণবঙ্গ। ছবি: শশী ঘোষ
গতকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে শহরতলির একাধিক এলাকায় জমে রয়েছে জল। উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে থাকার ফলে যানজটে সাধারণ মানুষ। রাতারাতি শহরের রাস্তা থেকে জল নামানোর কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র ইন কাউন্সিলের সদস্য তারক সিনহা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে শবরের ৭৩ টি পাম্পিং স্টেশন কাজ শুরু করেছে, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সন্ধ্যের মধ্যেই জল নেমে যাবে। অন্যদিকে হুগলী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। নদীতে জল বাড়ার কারণে ঐসব এলাকায় ঢুকে পড়ছে জল।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিন মোটামুটি লাগাতার বৃষ্টির কবলে থাকবে দক্ষিণবঙ্গ। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর সহ দুই ২৪ পরগনায়। প্রসঙ্গত, আবহাওয়ার এই বেহাল পরিস্থিতির কারণে তিনদিনের দীঘা সফর বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নবান্নের রাজ্য দপ্তর সূত্রে খবর, তাদের যে কন্ট্রোল রুম রয়েছে, তার সমস্তটাই দেখভাল করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও রাজ্যের জেলা আধিকারিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রতি মুহুর্তে এলাকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য।