গতকাল রবিবারের বজ্রপাতে রাজ্যজুড়ে মারা যায় ৪ শিশু সহ মোট ১২ জন। একইসঙ্গে এই দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫তে। রবিবার সকাল থেকেই গুমোট গরমের পাশাপাশি মুখ ভার ছিল আকাশের। দুপুর গড়াতেই নিকষ কালো মেঘরুপে অন্ধকার নেমে আসে পশ্চিমবঙ্গে। শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি তুমুল বৃষ্টি। গরম থেকে ক্ষনিক রেহাই দিলেও এদিন প্রকট ছিল ঘনঘন বজ্রপাতও।
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে খবর এদিন হাওড়া জেলা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর ,নদীয়া , মুর্শিদাবাদ সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ শঙ্কর মন্ডল জলঙ্গি এলাকার একটি মাঠে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেখানের বজ্রঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
রাজ্য আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আজও বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। তবে তার প্রকট প্রভাব থাকবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আজ সকালেই দার্জিলিং, আলিপুর, কালিম্পং, কোচবিহার,নর্থ এবং সাউথ দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মালদা জেলায় ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল।
আজও বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়
গতকাল হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া পুলিশ স্টেশনের আওতায় বরডাঙা এলাকায় আম কুড়োতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যায় চার শিশু। তাদের সকলেরই বয়স ছিল ৮ থেকে ১২ এর মধ্যে।
আকস্মিক এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানান ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তিনি আরও বলেন গতকালের ঝড়ের সমস্ত খবর ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে এসে পৌছেছে। এই ধরনের মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াবে এবং সরকার পুনর্নির্মাণে আর্থিক সাহায্যও করবে বলেও জানান তিনি।