Advertisment

এক ছাদের তলায় ১৫ জন রূপান্তরকামী মহিলার বিয়ে, উদযাপনে সামিল রায়পুর

 রূপান্তরকামীদের নিয়ে তৈরি ছবি 'হংস' ের প্রযোজকরাই এই উদযাপনের খরচ বহন করেছে। যদিও প্রযোজক সুরেশ শর্মা জানিয়েছেন রাজনীতিক থেকে সরকার, সবারই এতে নৈতিক সমর্থন ছিল"। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হঠাৎ দেখলে পার্থক্য ঠাওর হয় না। আর পাঁচটা বিয়ের মতোই দেখতে লাগবে। বিয়ের সাজে সেজে ছাদনাতলায় এসে বসেছেন বর কনে। অন্য যে কোনও বিয়েতে তো এমনটাই হয়। রায়পুরের পূজারি বাটিকার হলে লাল কমলা চেলিতে সেজেছে কনে। মঞ্চের একেবারে মাঝখানে হোমের প্রস্তুতি চলছে।

Advertisment

একসঙ্গে চারহাত এক হওয়ার অপেক্ষায় ১৫ জোড়া বর কনে। আর হ্যা, কনেরা কিন্তু প্রত্যেকেই রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের।

বছর দুয়েক আগে থেকে ছত্তিসগড়ে শুরু হয়েছে লড়াইটা। রূপান্তরকামী মেয়েদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য ছত্তিসগড়ের এই সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করা সংস্থা 'মাটি'। সাফল্যও এসেছে। রাজ্য পুলিশে চাকরি হয়েছে রূপান্তরকামী মহিলার। ২০১৮ এর সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে এই সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি বীণা সেন্দ্রে।

মাটির এক সদস্য সিদ্ধার্থ জানালেন, "এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানো কিমবা পেশাগত সম্মান প্রদান নিয়ে কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এটার খুব দরকার ছিল। এতদিন পর্যন্ত রূপান্তরকামীদের যৌনতাটাই স্বীকৃতি পেত"। তিনি আরও বললেন, "আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন দম্পতিদের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। শ'খানেক আবেদন এসেছিল, আমরা অতজনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারিনি। সমস্ত দম্পতির সঙ্গেই কথা বলি। আজ ছাদনাতলায় বসতে চলা প্রত্যেকেই খুবই সাহস দেখিয়েছেন জীবনে। তাঁরা জীবনসঙ্গী হিসেবে যাদের বেছেছেন, সমাজে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। আজ অবশ্য এদের পরিবারও এখানে উপস্থিত আছে"।

রূপান্তরকামীদের নিয়ে তৈরি ছবি 'হংস' ের প্রযোজকরাই এই উদযাপনের খরচ বহন করেছে। যদিও প্রযোজক সুরেশ শর্মা জানিয়েছেন রাজনীতিক থেকে সরকার, সবারই এতে নৈতিক সমর্থন ছিল"।

>আরও পড়ুন, বিজেপিকে ভোট নয়, আবেদন ১০০জন পরিচালকের

দম্পতিরা দেশের ছটি রাজ্য থেকে এসেছেন, বাংলা, বিহার, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং ছত্তিসগড়। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে লড়াই করা সংস্থা মাটির প্রেসিডেন্ট জানালেন, "রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া এই সাফল্য অসম্ভব ছিল"।

শুক্রবার সন্ধে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল উদযাপন। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ বরযাত্রী এল রায়পুরের রাস্তা আলো করে। সন্ধেতে এক হল চার হাত। বিজেপির মন্ত্রী থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রীদের অনেকেই সাক্ষী থাকলেন প্রান্তজনেদের এই উদযাপনে।

দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা, তাই হয়তো রাজনীতির হেভি ওয়েটদের এখন তৎপরতা, উদ্যোগ, সবই সামান্য বেশি। তবে ভোট সমীকরণ সরিয়ে রেখেই আগামী দিনে এই উদযাপনে সামিল হোক দেশ।

Read the full story in English

Advertisment