বহুলচর্চিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল অশোক গেহলটের সরকার। এবার দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হল রাজস্থানের বিধানসভায়। কেরালা ও পাঞ্জাবের পর রাজস্থান সেই রাজ্য যে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাস করল বিধানসভায়। পাশপাশি জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) আপডেট করার জন্য যে তথ্যগুলি চেয়েছে কেন্দ্র তা প্রত্যাহার করার আবেদনও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কেরালার পথে পাঞ্জাব, বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব অমরিন্দর সরকারের, সমর্থন শিরোমণি অকালি দলের
শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এই সিএএ বিরোধী প্রস্তাবটিতে উত্থাপন করে বলা হয়: “সিএএ সংবিধানের বিধান লঙ্ঘন করে। তাই নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য এড়িয়ে ভারতের সকল ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির জন্য আইনের সাম্যতা নিশ্চিত করার জন্য সিএএ সংশোধনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।” প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে যে সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি নিয়ে "ব্যাপক আশঙ্কা" রয়েছে এবং এই আইন লাগু হলে 'সুবিধার পরিবর্তে অসুবিধার মুখেই পড়তে হবে'।
আরও পড়ুন: প্রাণ ভিক্ষার আর্জি খারিজ, নির্ভয়ার ধর্ষক ফের আদালতে
রাজস্থানের বিধানসভায় পাস হওয়া প্রস্তাব স্পষ্ট বলে হয়েছে যে, "দেশের একটি বিরাট অংশের মধ্যে এই আশঙ্কা রয়েছে যে এনআরপি, এনআরসি-র ফলে কোনও ব্যক্তি বঞ্চিত হতে পারেন নাগরিকত্ব থেকে। যেভাবে তথ্য চাওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে জনগণ যথেষ্ট অসুবিধায় পড়তে পারে। আসাম রাজ্য একটি জীবন্ত উদাহরণ।" বৃহস্পতিবার রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানান সারা দেশে এই আইনের প্রতিবাদকারীদের আবেদন শোনার জন্য।
আরও পড়ুন: ফাঁসি দিতে প্রস্তুত তিহার, ‘শেষ সাক্ষাৎ ঠিক করুক আসামীরাই’
প্রসঙ্গত, সিএএর বিরুদ্ধে সোচ্চার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট গত মাসে জানিয়েছিলেন যে তাঁর রাজ্য এই সংশোধিত আইন বাস্তবায়িত হবে না। অশোক গেহলট বলেন, “আমি বেশ কয়েকবার বলেছি যে সিএএ এবং এনআরসি পুরো দেশে প্রয়োগ করা যায় না কারণ এগুলি অবৈধ। বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভ ও পরামর্শ সত্ত্বেও, সংখ্যাগরিষ্ঠের অহংকারের কারণে সিএবি একটি আইন হয়ে উঠেছে। এটা বুঝতে হবে যে আজ কেন সমস্ত সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী এবং যুবকরা রাস্তায় নেমেছে?"
Read the full story in English