করোনা আবহে ঈশ্বরজ্ঞানে সম্মানিত চিকিৎসকরা। কিন্তু, রাজস্থানের ভরতপুরে মহিলা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই উঠল মারাত্মক অভিযোগ। মুসলিম হওয়ার কারণেই নাকি এক অন্তঃসত্বাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চাননি চিকিৎসক। অ্যাম্বুলান্সেই ওই অন্তঃসত্বা সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, এরপর ফের নবজাতক ও তার মাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য চিকিৎসকের কাছে আবেদন জানানো হলেও তা নাকচ করে দেন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় সদ্যজাতর।
সন্তান হারিয়ে দিশাহারা ৩৪ বছরের ইরফান খান। বলেন, 'আমার স্ত্রী অ্যাম্বুলান্সেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। তার আগে সিক্রি থেকে জেনানা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু, ভর্তি নেওয়া হয়নি। জয়পুরে চলে যেতে বলা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার আমার স্ত্রীকে ভর্তির জন্য নিয়ে আসা হলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আমরা মুলমান বলেই এই ব্যবহার হল।' চিকিৎসক ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ইরফান। জানিয়েছেন যে, নিজামুদ্দিনে অংশগ্রহণকারী বলে তাদের সন্দেহ করেছিলেন ওই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন- ২১ দিনের লকডাউন শেষে কীভাবে এগোবে ভারত, চলছে পরিকল্পনা
রাজস্তানের স্বাস্থ্য শিক্ষামন্ত্রী তথা ভরতপুরের বিধায়ক সুভাষ গর্গ ইরফানের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, 'নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, অভিযোগকারীর বয়ানের সামঞ্জস্যতার অভাব মিলেছে। তদন্ত রিপোর্ট এলেই সব বোঝা যাবে।'
ভরতপুরের মেডিক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষ রচনা নারায়ণ সানডে এক্সপ্রেসকে এপ্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। জানিয়েছেন, এবিষয়ে উত্তরের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতরের সচিবই একমাত্র উপযুক্ত ব্যক্তি। পরে, রাজস্থানের স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব বৈভব গালরিয়া জানান, জেলা প্রশাসন তদন্ত করছে, প্রয়োজনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। ভরতপুরের হাসপাতালের প্রিন্সিপাল রূপেন্দ্র ঝা-র বক্তব্য, ‘‘এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এসেছিলেন। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় ওই মহিলাকে জয়পুরে রেফার করা হয়েছিল। তবে কোনও ত্রুটি ঘটে থাকলে তার তদন্ত করা হবে।’’
এই ঘটনায় রাজস্থানের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্দরেই টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন