বিচারবিভাগীয় ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির জাতের উল্লেখ করা যাবে না। নির্দেশ দিল রাজস্থান হাইকোর্ট। জাতের উল্লেখ সংবিধান বিরোধী বলেই জানিয়েছে আদালত। ২০১৮ সালে জয়পুর বেঞ্চে এক মামলার শুনানির উল্লেখ করে এই রায় দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত জানিয়েছে যে, 'দেখা গিয়েছে, প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রে অভিযুক্তের ও আদালতের রেজিস্ট্রার, নিম্ন আদালতের প্রিসাইডিং অফিসারদের জাতের উল্লেখ সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী। '
২০১৮ সালে এক মামলায় আইনজীবী গিরিরাজ পি শর্মা আদালতে জানান যে, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আবেদনকারী বিষানকে(২৪) পাঁচদিন ধরে জেল থেকে ছাড় হচ্ছে না। কারণ হিসাবে জেল কর্তপক্ষ জানায়, অ্যারেস্ট মেমোর সঙ্গে জাতের মিল না থাকার কারণেই ছাড়া হচ্ছে না। শুনানি চলাকালীনই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি সঞ্জীব প্রকাশ। বিচারপতির জানান, ২৯ জুন, ২০১৮ তারিখে আবেদনকারীকে জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু, জাতের উল্লেখ করার সময় লেখার ভুল হয়েছিল। 'জাতভে'র বদলে 'মেভ' লেখা হয়। ফলে বেলবন্ড গ্রহণ করা হয়নি ও জামিন সত্ত্বেও পাঁচদিন আবেদনকারীকে জেলেই কাটাতে হয়।'
পুলিশ যখন কাউকে ধরে তখন অ্যারেস্ট মেমোতে জাতের উল্লেখ করে। যা অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং সংবিধানের নীতি বিরুদ্ধ। সেই সময়ই বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, কোনও ব্যক্তিকে জাত দিয়ে নয়, বংশপরিচয় দিয়ে চিহ্নিত করা উচিত।
এদিনের রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বলেছেন, 'সময় এসেছে, রাষ্ট্রের উচিত এক বর্ণ-জাতহীন সমাজের দিকে এগিয়ে য়াওয়া। অন্তত, রাষ্ট্রের কাজকর্মে যেন জাতের উল্লেখ করতে উৎসাহিত না করা হয়।' এরপরই, জামিনের আবেদনে ভবিষ্যতে আর জাতের উল্লেখ না করার নির্দেশ দেন তিনি। অ্যারেস্ট মেমোতে ব্যক্তির জাতের উল্লেখ পুলিশকে আর করতে হবে না। এক্ষেত্রে তফশিলি জাতি-উপজাতিদের ক্ষেত্রে চাড় দেওয়া হয়েছে। রায়ের কপি রাজ্য সরকার ও পুলিশের ডিজি-র কাছে পাঠানো হবে সম্মতির জন্য।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন