Live-in Relationship: বিবাহিত মহিলা এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের লিভ-ইন সম্পর্ক অবৈধ। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে দায়ের মামলায় এই রায় দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। আদালতের একক বেঞ্চের বিচারপতি সতীশ শর্মা দুই যুগলের পুলিশি নিরাপত্তার আবেদনও খারিজ করেছে। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় ওই দুই যুগলের আবেদন, ‘প্রায় তাঁরা হুমকি পান। তাঁদের প্রাণসংসয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কোর্ট পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক।‘ যুগলের তরফে আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছে, ‘দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং সহমতের ভিত্তিতে লিভ-ইন করছে। তরুণী বিবাহিত হলেও গৃহহিংসার শিকার। তাই তিনি আলাদা থাকতে বাধ্য হয়েছেন’
এই অভিযোগের বিরোধিতায় তরুণীর শ্বশুরবাড়ি তরফে সওয়াল, ‘ওই যুগলের সম্পর্ক বেআইনি, অসামাজিক এবং অবৈধ। তাই তাঁরা পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়ার যোগ্য নয়। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি শর্মা বলেন, ‘প্রথম আবেদনকারী বিবাহিত। তা সত্বেও তিনি বিবাহ বিচ্ছেদে না গিয়ে দ্বিতীয় আবেদনকারীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন। এই পরিবেশে দুই জনের সম্পর্ক অবৈধ।
তাই বেআইনি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া মানে সেই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া। এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে বিচারপতির রায়ে।
তবে দুই যুগলের পুলিশে অভিযোগ জানাতে কোনও বাধা নেই। এই মন্তব্য করে বিচারপতি শর্মা বলেন, ‘দুই আবেদনকারীর সঙ্গে কোনও অপরাধ হলে তাঁরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে পারবেন। আইনি পথেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারবেন।‘
এই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি শর্মা এলাহাবাদ হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের প্রসঙ্গ তুলেছেন। সেই রায়ে বিচারপতি একই ধরণের মামলায় পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন খারিজ করেছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন