রাজস্থানে সফররত ইতালিয় বৃদ্ধ দম্পতির শরীরে করোনা জীবাণু নেই। দু'জনের রক্ত পরীক্ষার পর তা নিশ্চিত করা হয়েছে। রাজস্থানের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রোহিত কুমার জানিয়েছেন, 'ওই দম্পতির দু'বার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছিল। চলতি মাসের ৩ তারিখ ইটালিয় দম্পতির শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। দু'বারই ফলাফল নেতিবাচক এসেছে।' এচাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে, ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধ দুবাই থেকে রাজ্যে ফিরেছিলেন। তাঁর শরীরেও মারণ রোগের জীবাণু রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। পরীক্ষার পর অবশ্য জানা গিয়েছে কোনও জীবাণু ওই বৃদ্ধের শরীরে নেই।
করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে আক্রান্তদের শরীরে এইডসের ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভারতে করোনা আক্রান্ত দুই ইটালিয়র শরীরে ইতিমধ্যেই লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়। এই সংমিশ্রণ এইচআইভির দ্বিতীয় সারির ওষুধ বলে বিবেচিত। রোগীদের অনুমতি নিয়েই এই ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে বলে জানা যায়। রোগীদের শারীরিক অবস্থায় কথা বিবেচনা করেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথমবার করোনা মোকাবিলায় এইডস-এর ওষুধ প্রয়োগ
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের অনুমোদনের ভিত্তিতে করোনা আক্রান্তদের শরীরে লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ হয়েছে। জরুরিকালীন ভিত্তিতেই এই সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। নিয়ম অনুশারে রোগীদের অনুমতির ভিত্তিতে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। যা জয়পুর করোনা আক্রান্ত দুই ইটালিয়র শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে’।
করোনা আক্রান্তদের শরীরে এইডস-এর প্রতিষেধক প্রয়োগের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আইসিএম আর। মহামারি ও সংক্রমণ রোগের প্রধান ডঃ আর আর গঙ্গাখদর জানান, ''রাজস্থানের বৃদ্ধ দম্পতিকে দিয়ে ওই সংমিশ্রণের সাফল্য তুলে ধরা অবিবেচনার কাজ হবে। চিনে এইডস-এর সংমিশ্রণ দিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা শুরু হয়। প্রায় ১৯৯ জনের শরীরে তা প্রয়োগ করা হয়। চিনের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই প্রয়োগের সফলতা বিবেচনা করা হবে।
বর্তমানে রাজস্থানে ২৪ বছরের এক যুবক করোনা আক্রান্ত। সে স্পেনে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
Read the full story in English