/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/Rape-1.jpg)
প্রতীকী ছবি
ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজস্থানের পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মহেশ জোশীর ছেলে রোহিত জোশী পলাতক। এমনটাই জানাল দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে। একবছর ধরে জয়পুরের বছর ২৩-এর এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে রাজস্থানের ওই মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের বাবা রাজস্থানের পূর্তমন্ত্রী মহেশ জোশী আবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অত্যন্ত কাছের লোক বলেই পরিচিত।
সেই কারণে নির্যাতিতার বয়ান গ্রহণ করেনি রাজস্থান পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ জয়পুরের ওই যুবতীর। বাধ্য হয়ে তিনি মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত। নির্যাতিতা যুবতীর বয়ানের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। তদন্তের জন্য সেই এফআইআরের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজস্থান পুলিশের কাছে।
নির্যাতিতা যুবতী এফআইআরে বলেছেন, 'ধর্ষণে বাধা দিতে গেলে ওই মন্ত্রীপুত্র বলেছিলেন তিনি রাজস্থানের মন্ত্রীর ছেলে। সেই কারণে কেউ তার টিকিও ছুঁতে পারবে না। নিজের অর্থ এবং ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে ওই মন্ত্রীপুত্র হুমকি দিতেন। রোহিত জোশী বলেছিলেন, তিনি প্রয়োজনে এমন জায়গায় চলে যাবেন, যেখানে কেউ তার নাগাল পাবে না। প্রয়োজনে ভানওয়ারি দেবীর মতো ঘটনা ফের ঘটবে।'
নির্যাতিতা মহিলার দাবি, তিনি স্পষ্ট বুঝে গিয়েছিলেন যে কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে তাঁর সুবিচার পাওয়া অসম্ভব। শুধু তাই নয়, তার পরও তিনি ওই মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে সরব হতে গেলে তাঁকেই উলটে লোকনিন্দার শিকার হতে হবে। সূত্রের খবর, নির্যাতিতার এফআইআরের ভিত্তিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুলিশের একটি দল রবিবার মন্ত্রী মহেশ জোশীর বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁরা গিয়ে দেখেন বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, টলিপাড়ায় চরম দুঃসংবাদ
তদন্তকারীরা এরপর সিভিল লাইনস এলাকার অন্য একটি বাড়িতেও অভিযুক্ত রোহিত জোশীর খোঁজে তদন্ত চালান। কিন্তু, সেখানেও অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে যোগ দিতে উদয়পুরে গিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, জোশী পরিবারের লোকজনকে এফআইআরের কথা জানানো হয়েছে। রোহিত কোথায় আছে খবর পেলে যেন দ্রুত পুলিশকে জানানো হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
Read full story in English