সম্পর্ক চুকেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। নতুন মানুষের সঙ্গে ঘরও বেঁধেছেন মহিলা। কিন্তু প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের রাগ যেকে সেই। শেষ পর্যন্ত মহিলার বিরুদ্ধে পৈশাচিক আচারণের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন ভাসুরের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী ঘটেছে?
ঘটনা গত শনিবারের রাজস্থানের বারাণ জেলার। পুলিশের ডিএসপি যোগেন্দ্র যাদবের বয়ান অনুসারে, শনিবার রাতে বর্তমান স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ছাজাওয়ার গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মহিলা। সেই সময়ই মহিলার প্রাক্তন ভাসুর ও তাঁর দলবল চড়াও হয়। দুষ্কৃতীরা মহিলা ও তাঁর স্বামী ও সন্তাননদের রাস্তার পাশে মাঠে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে মারধর করে তাঁর হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপরই স্বামীর সামনে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে তাঁর প্রাক্তন ভাসুর। সঙ্গে ছিল আরও পাঁচ দুষ্কৃতী। অপকর্মের পর ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পরে, কোনও মতে ওই মহিলা সন্তানদের নিয়ে মাঠের পাশে রাস্তায় এসে স্থানীয়দের সহায়তা চায়। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মবল অভিযুক্ত মহিলার প্রাক্তন ভাসুর সহ মোট তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের সন্ধানে তল্লাসি চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ-অপহরণের অভিযোগ মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগকারীনি ও অভিযুক্তদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশের দাবি অনুসারে, সন্তান না হওয়া ঘিরে প্রথম স্বামীর সঙ্গে মহিলার মনোমালিন্য হয়। পরে স্বামীর ঘর ছাড়েন ওই মহিলা। পরে 'নাটা প্রথা' অনুযায়ী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন মহিলা। এই প্রথা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক উদযাপন ছাড়াই বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন