কু ঝিক ঝিকের সঙ্গে দোল দোল দুলুনি, এ সফরের স্বাদ তো চিরকালীনই। দূরপাল্লার ট্রেনের কামরায় পা মুড়ে বসে দোল খেতে খেতে ভ্রমণের আমেজটাই আলাদা। কিন্তু এই দুলুনি মাথাচাড়া দিলে কার ভাল লাগে বলুন। ট্রেনের ঝাঁকুনিতে যদি গা-হাত-পা ব্যথা হয় বা কোমরে টান ধরে, তখন তো মোটেই সুখকর হয় না রেলসফর। ‘‘আরামে যাব, তাই রাজধানী’’, কিংবা ‘‘শতাব্দী আছে তো’’ বলে যাঁরা পকেট থেকে কড়কড়ে নোট বের করে টিকিট কাটেন, সেসব নামী ট্রেনে সফরের পর অনেকেই মনে মনে আওড়ান, ‘‘ধুস, আজকাল রাজধানী-শতাব্দীও যা, লোকাল ট্রেনও তাই, সেই এক ঝাঁকুনি।’’ হ্যাঁ, দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রা আরামের করার জন্য রেলের তরফে চেষ্টার কসুর নেই। আর তাই এবার রাজধানী ও শতাব্দীতে উঠলে হয়তো ট্রেনের তালে তালে দুলবেন না আপনি। কারণ, নতুন কাপলার বসানো হচ্ছে ওই দুই সাধের ট্রেনে।
রাজধানী এক্সপ্রেস হোক বা শতাব্দী, এতদিন এরা আপনাকে যে হারে দুলিয়েছে, তাতে এবার এরা আরও ফিট হচ্ছে। এদের ফিট হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সেন্টার বাফার কাপলারের ভূমিকা। কাপলারের নয়া ভার্সান রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসে লাগাতে ইতিমধ্যেই উত্তর রেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে রেলমন্ত্রক। প্রসঙ্গত রাজধানী, শতাব্দীর মতো হেভিওয়েট ট্রেনের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে উত্তর রেল। ফলে এতদিন রাজধানী বা শতাব্দীর যাত্রীরা ঝাঁকুনি নিয়ে যে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন, এবার তাঁরাই এমন অভিযোগ ফিরিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন, রাখীবন্ধন উপলক্ষ্যে দিল্লি শাখার জন্য উপহার ভারতীয় রেলের
কাপলার কী? কাপলার একধরনের ডিভাইস যা কিনা ট্রেনের কোচগুলিকে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে রাখে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন কাপলার ডিভাইসে থাকছে ব্যালান্সড ড্রাফ্ট গিয়ার।
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি বলেন,‘‘অক্টোবরের শেষেই রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসে নতুন কাপলার লাগানো হবে। এর জেরে এই ট্রেনে উঠলে আর ঝাঁকুনি হবে না।’’