রাজীব কুমার হচ্ছেন দেশের পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ১৫ মে থেকে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। সিইসি সুশীল চন্দ্রের স্থলাভিষিক্ত হবে রাজীব কুমার।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, 'সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের ধারা (২) অনুসারে, রাষ্ট্রপতি শ্রী রাজীব কুমারকে ২০২২ সালের ১৫ মে থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করতে পেরে খুশি৷ শ্রী রাজীব কুমারকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।'
রাজীব কুমার বর্তমানে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে কাজ করছেন। ২০২০ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নেওয়ার আগে, কুমার পাবলিক এন্টারপ্রাইজ সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে পিইএসবি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছিলেন তিনি।
১৯৮৪ সালের ব্যাচের বিহার/ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইএএস আধিকারিক রাজীবের প্রশাসনিক ও নীতি নির্ধারণে অভিজ্ঞতা দীর্ঘ তিন দশকের। এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থসচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন বর্ষীয়ান এই আমলা। সেই সুবাদে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে চারটি বৃহৎ ব্যাঙ্ক গঠনের গোটা প্রক্রিয়াতেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এ বার সেই রাজীবই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
১৯৬০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাজীব কুমার। বিএসসি, এলএলবি, পিজিডিএম এবং পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর সহ শিক্ষাজগতে একাধিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। কাজ করেছেন কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকে।
কুমার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই), এসবিআই, নাবার্ডের কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরিচালকও ছিলেন। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল (EIC), আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন পরিষদ (FSDC), ব্যাংক বোর্ড ব্যুরো (BBB), আর্থিক নিয়ন্ত্রক নিয়োগ অনুসন্ধান কমিটি (FSRASC), সিভিল সার্ভিস বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
তাঁর অধীনে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) এর স্ট্রীমলাইনিংও কার্যকর হয়েছিল যার ফলে প্রায় ১৮ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী উপকৃত হয়েছেন।