গালওয়ান সংঘর্ষের পর একের পর এক বৈঠক, কিন্তু সীমান্তের অচলাবস্থা এখনও সেই তিমিরেই। মঙ্গলবার চৌশলে ইন্দো-চিন সেনা কমান্ডারদের তৃতীয় বৈঠকেও 'প্রকৃত সমাধানসূত্র' কিছু বেরোয়নি। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে এখনও সেনা এবং কূটনৈতিক স্তরে বেশ কয়েকটি বৈঠক প্রয়োজন বলেই মনে করছে সেনাসূত্র।
মঙ্গলবার চৌশল সীমান্তে প্রায় ১১ঘন্টার ম্যারাথন বৈঠক চলে। সেখানে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ ও চিনের তরফে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জিংজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের চিফ মেজর জেনারেল লিউ লিন। সূত্রের খবর, "পর্যায়ক্রমিক ভাবে এবং ধাপে ধাপে কীভাবে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়া হবে দু'পক্ষের তরফে' সেই বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় আলোচনা পর্বে।
আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় বরাদ্দের মাত্র ১৩% খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের
তবে পরিস্থিতি ঠিক কোন পথে তার রেশ বুঝতে শুক্রবারই লাদাখ যাবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সেনাপ্রধান এম এম নারভানে। জানা গিয়েছে লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলবেন মন্ত্রী। পরবর্তী কৌশল এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন সেনা কমান্ডারদের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-চিন সংঘর্ষের পর এই প্রথম লাদাখ যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ। এই বৈঠকে থাকবেন নর্দান আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে জোশি।
এদিকে বেজিং থেকে চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজান সাংবাদিকদের বলেন, "উভয় পক্ষ কমান্ডার-স্তরের আলোচনার দফায় দফায় ঐক্যমত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অশান্ত পরিস্থিতির অচলাবস্থা কাটানোরও চেষ্টা চলছে। চিন এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমরা আশা করছি একই লক্ষ্যের ভারত এবং চিন উভয়পক্ষই কাজ করবে। সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরের মাধ্যমে এই যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। আশা করা যায় পরিস্থিতি ঠিক হবে এবং সীমান্তের উত্তাপও কমবে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন