মোটা অঙ্কের, মোট ২৮,৭৩২ কোটি টাকার অস্ত্র কিনবে ভারত। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রয়োজনের স্বার্থে উন্নত মানের এই অস্ত্র কেনা হবে। যাতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের আত্মনির্ভরতা আরও বাড়বে। মঙ্গলবারই এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কার্বাইনের মত অস্ত্রর পাশাপাশি সরঞ্জামও কিনবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যার মধ্যে রয়েছে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। এছাড়াও সোয়ার্ম ড্রোনও কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, 'নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন আমাদের সেনাদের শত্রুপক্ষের স্নাইপারদের গুলির মুখোমুখি হতে হয়। এরকম সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশি জঙ্গিদমন অভিযানেও দরকার পড়ে। সেই কারণে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট কেনা হবে। পাশাপাশি, প্রচলিত এবং আধুনিক যুদ্ধকৌশলের অঙ্গ হিসেবে চার লক্ষ ক্লোজ কোয়ার্টার ব্যাটল কার্বাইনও কেনা হবে। এই কেনার ফলে ভারতের ছোট অস্ত্র উৎপাদন শিল্প এবং ক্ষুদ্র অস্ত্র শিল্প আত্মনির্ভর হওয়ার প্রেরণা পাবে।'
আরও পড়ুন- শিন্ডেকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন, ‘সামনা’তেও ফুটল উদ্ধবের বিলাপ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, 'বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতিক লড়াইয়ে ড্রোনের প্রযুক্তি সামরিক অভিযানে হামেশাই ব্যবহার হচ্ছে। আধুনিক যুদ্ধে ভারতীয় সেনার সক্ষমতা বাড়াতেও তাই ড্রোনের প্রয়োজন। নিজে থেকেই নজরদারি এবং সশস্ত্র ড্রোন কেনার জন্যও তাই অস্ত্র বরাদ্দ করা হয়েছে।' পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, জাহাজে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য গ্যাস টারবাইন জেনারেটর কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল নৌবাহিনী। সেই প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এই গ্যাস টারবাইন জেনারেটর দেশীয় শিল্পকে বড় উৎসাহ দেবে বলেই বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
একইসঙ্গে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত। এজন্য ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনীর আরও জাহাজ দরকার। সেগুলো যাতে দ্রুতগামী হয়, সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। এই চাহিদা মেটাতে ১৪টি দ্রুতগামী টহলদার জাহাজ কেনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষ কমিটি। ওই জাহাজগুলো কেনার পর তা তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে।
Read full story in English