নাগাল্যান্ডে চালু করা হবে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তার জন্য জরুরি নম্বর। যার মাধ্যমে সহজেই পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে পৌছে যেতে পারবে বিপদ সংকেত। এ ধরনের উদ্যোগে নাগাল্যান্ড উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রথম রাজ্য এবং ভারতবর্ষে হিমাচল প্রদেশের পর দ্বিতীয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমস্যায় পড়লে এই অ্য়াপটির SHOUT ফিচারের মাধ্যমে মহিলারা তাৎক্ষণিকভাবে রেজিস্টার্ড স্বেচ্ছাসেবক এবং এমারেজন্সি রেসপন্স টিমের কাছে সাহায্য চাইতে পারবেন। যিনি সমস্যায় পড়েছেন, জিপিএসের মাধ্যমে তাঁর অবস্থান নির্ণয় করা যাবে।
নাগাল্যান্ডের তিনটি জেলায় এমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। কোনও মহিলার কাছ থেকে বিপদবার্তা পেলেই ইআরসি সেখানে গাড়ি পাঠাবে।
রাজনাথ বলেন, দেশে মহিলারা যাতে সমস্ত ধরনের উন্নয়নের কাজে যোগ দিতে পারেন, সেজন্য তাঁদের সুরক্ষিত পরিবেশ দেওয়ার কাজ জরুরি হয়ে পড়ে। একমাত্র সেক্ষেত্রেই দেশের যথার্থ উন্নতি হওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনাথ বলেন, ‘‘এ দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই মহিলা। যদি আমরা আমাদের শহর নিরাপদ রাখতে পারি তাহলে মহিলারা দেশের উন্নতির কাজে অগ্রসর হতে পারবেন এবং দেশ এগিয়ে যাবে। একটি দেশে নারীরা যদি সুরক্ষিত এবং বলীয়ান হন, তাহলে সে দেশের অগ্রগতি কেউ ঠেকাতে পারবে না।’’
আরও পড়ুন: ওড়িশার হোমেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ, ধৃত ১
তিনি আরও বলেন, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে পুলিশ, স্বাস্থ্য, অগ্নি বিভাগ এবং অন্যান্য এজেন্সি থেকে তাৎক্ষণিক সহায়তা পাবেন। হেল্পলাইন তৈরির পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মহিলা নিরাপত্তার দিকে নজর দিয়েছে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক বিভাগগুলি এবং ফৌজদারি কার্যবিধির প্রাসঙ্গিক বিভাগগুলির আইন সংশোধন করা হয়েছে। যৌন লাঞ্ছনা সম্পর্কিত মামলার বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাইবার ক্রাইম এবং যৌন অপরাধীদের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে তৈরি হয়েছে জাতীয় পর্যায়ের তথ্যভাণ্ডার।
একাধিক পরিষেবা, পুলিশ ( ১০০), আগুন ( ১০১), স্বাস্থ্য (১০৮), এবং নারী হেল্পলাইন নম্বর (১০৯০) সুবিধা পাবেন এখন ১১২ নম্বরেই।
Read the full story in English