বর্তমান চুক্তির লঙ্ঘন ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করছে। লাদাখ বিতর্কে চিনের প্রতিনিধিদলকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত নিয়ে চিনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা জানিয়েছেন। ভারতে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে এসেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লি-এর নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে রাজনাথ বৈঠক করেন। সেখানেই রাজনাথ লাদাখ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে, রাজনাথ সিং চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, LAC-তে সমস্ত সমস্যা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি মতই সমাধান করা দরকার। রাজনাথ বলেছেন, 'চিন - ভারত সম্পর্কের বিকাশ সীমান্তে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখার ওপরই নির্ভর করছে।' বৈঠকে দুই নেতাই খোলাখুলি আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রাজনাথ চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, সম্পর্কের উন্নতি চাইলে সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে হবে। দীর্ঘদিন দুই দেশের সেনা LAC-তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকে তারা সরেছে। এবার আরও সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। বৈঠকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান ও প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরামনেও উপস্থিত ছিলেন।
গত সপ্তাহেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক উচ্চপর্যায়ের সামরিক আলোচনার ১৮তম পর্ব সমাপ্ত হয়েছে। এই বৈঠকে পারস্পরিক আস্থা তৈরি, আগামী দিনে উভয়পক্ষের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ রোধ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর, এই বৈঠকেই ভারতে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সফরের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এমনটাই জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- সুদানে আরএসএফ কবে আর কীভাবে তৈরি হল?
লি ছাড়াও, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা ঘারেই আশতিয়ানির সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছে রাজনাথ। সেই বৈঠকে উভয়পক্ষই দুই দেশের জনগণের মধ্যে প্রাচীন সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং সভ্যতাগত ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপর জোর দিয়েছে। বৈঠকে ভারত ও ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পর্যালোচনা করেন। আর, আফগানিস্তানে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা-সহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে মত বিনিময়ও করেন।