Advertisment

সংসদে পেশ হল 'দুই সন্তান নীতি' বিষয়ক প্রাইভেট মেম্বার বিল

"রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা অনুমানের হিসেবে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতবর্ষ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চিহ্নিত হবে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
india two children policy

সংসদে আসতে চলেছে দুই সন্তান নীতির নয়া বিল, সৌজন্যে রাকেশ সিনহা

ক্ষমতাসীন বিজেপি দ্বারা সংসদের নির্বাচিত অথচ মন্ত্রী নন এমন সদস্য শুক্রবার রাজ্যসভায় একটি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল পেশ করেন, যেখানে বলা হয় দুই সন্তান নীতি নিয়ে যাঁরা পরিবার গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁদের সরকারের তরফে ইন্সেনটিভ দেওয়া হবে এবং যাঁরা এই নিয়ম মানবেন না, তাঁদের জরিমানা দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।

Advertisment

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলটি রাজ্যসভার উচ্চকক্ষে পেশ করেন রাকেশ সিনহা। সেখানে বলা হয়, আইনটি প্রণয়ন হয়ে যাওয়ার পর দুইয়ের একাধিক সন্তান থাকলে এমপি, এমএলএল বা স্থানীয় সরকারের কোনও সদস্য হিসাবে নির্বাচিত ব্যক্তিদের 'অযোগ্য' বিবেচিত করা হবে। একইভাবে, বিলটিতে সুপারিশ করা হয় যে সরকারী কর্মচারীদের একটি অঙ্গীকার করা উচিত, যে তাঁর পরিবারে দুটির বেশি সন্তান হবে না।

আরও পড়ুন, স্পাইসজেট কর্মীর ‘অপ্রত্যাশিত’ মৃত্যুতে জরুরি তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের 

বিলটিতে বলা হয় যে, এই আইন প্রণয়নের আগে যে সকল সরকারি কর্মচারীদের দুটি বা তার বেশি সন্তান বর্তমান, তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু আইন পাশ হয়ে যাওয়ার পর দুইয়ের বেশি সন্তান জন্মালে জরিমানা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ঋণের উপর সাবস্ক্রিপশন হ্রাস, সঞ্চয়ী যন্ত্রপাতির উপর সুদের হার হ্রাস, ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ঋণ গ্রহণের জন্য স্বাভাবিক সুদের হারের চেয়ে বেশি হারে টাকা ফেরত দিতে হবে তাঁদের।

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রাকেশ সিনহা বলেন, "এই বিল কোনও ধর্ম, বর্ণ বা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে করা হয় নি।" তিনি আরও বলেন, "রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা অনুমানের হিসেবে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতবর্ষ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চিহ্নিত হবে।" তাঁর আরও বক্তব্য, "এই বিলটি সমাজে মানুষ এবং জনসম্পদ ব্যবহারের মধ্যে ভারসাম্য সাধনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।"

আরও পড়ুন, ষড়যন্ত্র করে সই জাল করে অনাস্থা, বিস্ফোরক সব্যসাচী দত্ত

দেশের শাসক দল দ্বারা নির্বাচিত এই সদস্য বলেন, "দেশের প্রায় ৭২টি জেলায় একজন নারী গড়ে চারজন সন্তানের জন্ম দেন, এবং তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সংখ্যালঘুদের দ্বারা প্রভাবিত জেলা। পশ্চিম কিংবা দক্ষিণ ভারতে না হলেও উত্তর এবং পূর্ব ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এটি একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। অঞ্চল, সম্পদ, ধর্ম - তিনটি কারণ রয়েছে এর পিছনে।" এই বিলটির বিধানগুলিতে কেন্দ্রীয় এবং পাবলিক সেক্টরের কর্মচারীদের জন্য বেশ কয়েকটি সুবিধা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাঁদের জন্য, যাঁরা দুই সন্তান নীতি নিয়ম গ্রহণ করে 'নির্বীজকরণ' প্রক্রিয়া করিয়েছেন।

Read the full story in English

Advertisment