Advertisment

রাকেশ আস্থানা: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে গোধরা, কখনওই আলোকবৃত্তের বাইরে থাকেননি

তাঁর নেতৃত্বে তদন্তে গোধরা কাণ্ড একটি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে স্থিরীকৃত হয়। যে ষড়যন্ত্রের দায়ভার প্রথমে আইএসআই, তারপর সিমির উপর বর্তায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অলোক ভার্মা অপতারণের এক সপ্তাহ পর অপসৃত আস্থানা

দেশের হাই প্রোফাইল তদন্তকারী সংস্থা তাদের ডিরেক্টর অলোক ভার্মা ও স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার মধ্যেকার অভূতপূর্ব লড়াইয়ের সাক্ষী। এই দুই অফিসারের ক্রম উত্থান এবং সিবিআই পর্যন্ত পৌঁছানোর যাত্রাপথ লিপিবদ্ধ থাকল। 

Advertisment

২০০২ সালে আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানাকে যখন তাঁর নিজের জায়গা অর্থাৎ গুজরাটে ফিরিয়ে আনা হল, তখন তাঁর মাথায় সুনামের শিরোপা। তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ব্যবস্থা নেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছেন।

আরও পড়ুন, অলোক ভার্মা: দিল্লির নিচু তলার পুলিশকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে আজও ‘ভার্মাসাবে’র ছবি

সে মামলা যখন কোর্টে ওঠে, তখন গোধরা ট্রেন কাণ্ড ঘটে গেছে, ঘটে গেছে তৎপরবর্তী ২০০২ গুজরাট দাঙ্গা। গোধরা মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চারপাশে যখন ব্যাপক দাবি উঠতে শুরু করেছে, সে সময়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (ক্রাইম অ্যান্ড রেলওয়েজ)-এর ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে নিয়ে আসা হয় সিবিআই ফেরত ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসারকে। মনে রাখতে হবে গোধরা কাণ্ডের তদন্ত করছিল উপরোক্ত বিভাগটিই। সিবিআই তদন্ত যদি অস্বস্তির জন্ম দেয়, সেই বাবনা থেকেই সিবিআই ফেরত অফিসারকে এই দায়িত্বপ্রদান করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, যিনি গোধরা কাণ্ডের তিন দিন আগে প্রথম বার নির্বাচনে জিতেছিলেন।

১৯৬১ সালে রাঁচিতে জন্মেছিলেন রাকেশ আস্থানা। তাঁর নেতৃত্বে তদন্তে গোধরা কাণ্ড একটি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে স্থিরীকৃত হয়। যে ষড়যন্ত্রের দায়ভার প্রথমে আইএসআই, তারপর সিমির উপর বর্তায়। একদম শেষে বলা হয় এ ঘটনা নার্কো-টেরোরিজমের পরিকল্পনা। এর কোনও তত্ত্বই শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধোপে টেঁকেনি। ২০১১ সালে ৯৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৬৩ জনকেই খালাস করে দেয় নিম্ন আদালত। যাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মৌলানা উমরজিও, যাঁকে চার্জশিটে মূল ষড়যন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

আস্থানা কখনও কোণঠাসা হননি। তাঁর কেরিয়ারের একদম শুরুতে তিনি গুজরাটের আমূল খ্য়াত আনন্দ জেলার পেটলাড শহরে মহকুমা পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর জামনগরের পুলিশ সুপার, তারপর ১৯৯০ সালে আমেদাবাদের ডিসিপি এবং তারপর পাটানের পুলিশ সুপার। ১৯৯৫ সালে ধানবাদে সিবিআই এস পি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।

শুধু শীর্ষ পদে থাকাই নয়, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সহ বেশ কিছু হাই প্রোফাইল মামলার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তার মধ্যে গোধরা ট্রেন পোড়ানো তো রয়েইছে, রয়েছে আশারাম বাপুর পুত্র নারায়ণ সাইয়ের বিরদ্ধে ধর্ষণ মামলা এবং হার্দিক প্যাটেলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলাও।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালু যাদব শাস্তি পাওয়ার ঘটনা রাকেশ আস্থানার কেরিয়ারে অন্যতম বড় সাফল্য। এ ঘটনার পর তিনি বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন।

Read Full Story in English

cbi
Advertisment