কেন্দ্র রাম সেতুকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণা করুক। কেন্দ্রকে এই মর্মেই নির্দেশ দিক আদালত। সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনই করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিন মাস পর এই আবেদন বিবেচনা করে দেখা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এস এ নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে জানিয়েছেন, 'রাম সেতু সংক্রান্ত আবেদন তিন মাস পরে করুন। তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।'
এর আগে কেন্দ্র রাম সেতুর অস্তিত্ব মেনে নিয়েছে। কোর্টকে এদিন সেই বিষয়টি তুলে ধরেন বিজেপি সাংসদ। এছাড়াও জানান, ২০১৭ সালে রাম সেতুর উপর স্মৃতি সৌধ তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু, তারপর আর বিষয়টি গতি পায়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যেই: আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত
২০০৭ সালে পক প্রণালীতে ড্রেজিং করে জাহাজ চলাচলের পথ তৈরির প্রকল্প নিয়েছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। যার নাম দেওয়া হয়, ‘সেতুসমুদ্রম’। সে সময় বিরোধী দল বিজেপির তরফে এই প্রকল্পে বাধা দেওয়া হয়। দাবি ছিল, ওই সেতু রাম ও বানর সেনাদের দ্বারা তৈরি। ড্রেজিংয়ের ফলে এর ক্ষতি হলে মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হবে। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলাও করেছিলেন।
সেই সময় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানায়, 'প্রকল্পের আর্থ-সামাজিক অসুবিধাগুলি" বিবেচনা করে এবং রাম সেতুকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে জাহাজ চলাচলের একটি পথ অন্বেষণ করতে ভারত আগ্রহী।' পরে কোর্ট এবিষয়ে কেন্দ্রকে নতুন করে এফিডেবিট জমা করতে বলে। এছাড়াও ওই প্রকল্পের সমালোচনা করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, হিন্দু গোষ্ঠী ও পরিবেশ কর্মীরা।
গত নভেম্বরেই সুপ্রিম কোর্টে চয় সপ্তাহ সময় দিয়ে সেতুসমুদ্রম প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলে। এছাড়াও রাম সেতু নিয়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে কোর্টে আবেদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
Read the full story in English