২৯ জানুয়ারি রাম মন্দির মামলার শুনানি হবে না। ওই দিন বিচারপতি এস এ বোবোডে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। রবিবার শীর্ষ আদালত এ তথ্য জানিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার দিনই এই মামলার জন্য পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ পুনর্গঠিত হয়। এই বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি অশোক ভূষণ, আবদুল নাজির, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এস এ বোবোডে। এর আগে এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এন ভি রামানা। তাঁকে বেঞ্চ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ইউইউ ললিত এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সপ্তাহ দুয়েক পরে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অতীতে অযোধ্যা সংক্রান্ত মামলায় ললিত আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলেই বর্তমানে বিচারপতির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ললিত। সিনিয়র আইনজীবী রাজীব দিওয়ান বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান বিচারপতি ললিত বাবরি ধ্বংসের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা কল্যাণ সিংয়ের আইনজীবী হিসাবে কাজ করেছিলেন। ৯২-এর বাবরি ধ্বংসের ঘটনায় ৯৭ সালের ওই মামলায় কল্যাণ সিংকে আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাম মন্দিরের ২.৭৭ একর করে জমি নির্মোহী আখড়া, সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং রামলালা বিরাজমন-এর মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেওয়ার রায় দিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদনেরই শোনার কথা পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের।